নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): বরিশালে বিনা উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল জাতসমূহের সম্প্রসারণ বিষযক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২২ জুন) রহমতপুরে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) উদ্যোগে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন বিনার মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. ছয়েমা খাতুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) অতিরিক্ত পরিচালক হৃদয়েশ^র দত্ত এবং বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আলমগীর হোসেন।
বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. সোহেল রানার সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডিএই বরিশালের উপরিচালক মো. হারুন-অর-রশীদ, হর্টিকালচার সেন্টারের উপপরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, আঞ্চলিক কৃষি তথ্য অফিসার মো. শাহাদাত হোসেন, বাবুগঞ্জের উপজেলা কৃষি অফিসার মো. নাসির উদ্দিন, বরিশাল সদরের উপজেলা কৃষি অফিসার মোসা. ফাহিমা হক, বাকেরগঞ্জের উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মুসা ইবনে সাঈদ, আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।
প্রধান অতিথি ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম বলেন, বরিশাল অঞ্চলের ভূ প্রকৃতিগত ভিন্নতার কারণে ফসলের যথোপযুক্ত জাত নির্বাচন করা চ্যালেঞ্জ। তবে বিনা উদ্ভাবিত ফসলের ১২২ টি জাতের মধ্যে অনেকগুলো বরিশাল অঞ্চলে চাষ উপযোগী। এর মধ্যে ধান হিসেবে বিনা ধান-১০, বিনা ধান-১৭, বিনা ধান-২০, বিনা ধান-২৩ অন্যতম। ডাল ফসলের ক্ষেত্রে বিনা মুগ-৮, বিনা মুগ-৯, বিনা মুগ-১০ আর তেল ফসলের মধ্যে বিনা সরিষা-৪, বিনা সরিষা-৯, বিনা সরিষা-১০, বিনা সরিষা-১১ বেশ। তিনি আরো বলেন, শুধু ভালো জাত নয়, এর পাশাপাশি সার প্রয়োগ, পরিচর্যা এবং রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা বিষয়ে কৃষকদের জানা জরুরি। তাহলেই আশানুরূপ ফলন পাওয়া যাবে। খাদ্যের উৎপাদন বাড়ানোর কেনো বিকল্প নেই। এজন্য শস্য বিন্যাসে যুগোপযোগী করার ক্ষেত্রে কাজ করতে হবে। সেমিনারে ২৫ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।