নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এর উম্মেয়ারা স্মৃতি তহবিল বৃত্তির অর্থ ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠান সোমবার (২৭ জুন) ইনস্টিটিউটের উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ বছর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উচ্চ বিদ্যালয় ও ছোট দেওরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেণীর মোট ৬৩ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে বৃত্তির অর্থ ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে বারি’র মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তির অর্থ ও সনদপত্র বিতরণ করেন। বারি’র পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ) ও উম্মেয়ারা স্মৃতি তহবিলের সভাপতি ড. মো. কামরুল হাসান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ) ড. ফেরদৌসী ইসলাম, পরিচালক (কন্দাল ফসল গবেষণা কেন্দ্র) ড. সোহেলা আক্তার, পরিচালক (উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র) ড. নির্মল চন্দ্র শীল, বারি’র পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন উইং এর ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও উম্মেয়ারা স্মৃতি তহবিলের সহ-সভাপতি ড. দীদার সুলতানা। এছাড়াও অনুষ্ঠানে ইনস্টিটিউট এর বিভিন্ন বিভাগের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা, কর্মচারী, বিএআরআই উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া প্রদর্শনের মাধ্যমে উম্মেয়ারা স্মৃতি তহবিলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের মৃত্তিকা ও পানি ব্যবস্থাপনা শাখার ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও তহবিলের সদস্য সচিব ড. খোকন কুমার সরকার।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বারি’র মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার বলেন, এই বৃত্তি প্রদানের মাধ্যমে আজ এসব শিক্ষার্থীদের মেধার স্বীকৃতি দেয়া হলো। এর ফলে তারা আগামীতে আরও ভালো ফলাফল করতে তারা উৎসাহিত হবে। যারা বৃত্তি পায়নি তারা ভবিষ্যতে আরও ভালো ফলাফল করার মাধ্যমে আগামীতে এই বৃত্তি পাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, বারি’র এফএমপিই বিভাগের জুনিয়র ফিটার মো. আবুল হাসেমের মেয়ে ও ছোট দেওরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণীর ছাত্রী মোসাম্মত উম্মেয়ারা ১৯৮৮ সালে এক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়। কোমলমতি এই শিক্ষার্থীর স্মৃতি রক্ষা এবং গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার পথ সুগম করতে উম্মেয়ারা স্মৃতি তহবিল গঠন করা হয়।