গাজীপুর সংবাদদাতা: বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এর কন্দাল ফসল গবেষণা কেন্দ্রের আয়োজনে “কচু ফসলের উন্নত জাত ও উৎপাদন কলাকৌশল শীর্ষক” দিনব্যাপী প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ বুধবার (২৯ জুন) ইনস্টিটিউটের সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘কচু ফসলের জিন পুল সমৃদ্ধ, গবেষণা, প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও উন্নত জাত বিস্তারের মাধ্যমে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা জোরদারকরণ কর্মসূচী’ এর অর্থায়নে আয়োজিত এ প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণে বারি’র বিভিন্ন বিভাগের বিজ্ঞানী ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
সকালে বারি’র মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন। বারি’র পরিচালক (কন্দাল ফসল গবেষণা কেন্দ্র) ড. সোহেলা আক্তার এর সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ) ড. মো. কামরুল হাসান, পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. তারিকুল ইসলাম, পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ) ড. ফেরদৌসী ইসলাম।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কন্দাল ফসল গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মনিরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে ‘কচু ফসলের জিন পুল সমৃদ্ধ, গবেষণা, প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও উন্নত জাত বিস্তারের মাধ্যমে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা জোরদারকরণ কর্মসূচী’র উদ্দেশ্য ও গুরুত্ব বিষয়ে বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন কর্মসূচী পরিচালক ও কন্দাল ফসল গবেষণা কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. ছামছুল আলম।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বারি’র মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার বলেন, কচু ফসলটি আমাদের দেশে দীর্ঘদিন ধরে চাষ হয়ে আসলেও এটি একটি অবহেলিত ফসল। কিন্তু ইদানিং আমাদের দেশে খাদ্যের চাহিদা বাড়ছে, ফলে বিভিন্ন ধরনের কচুর চাহিদাও বাড়ছে। কচু খুবই পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি ফসল। ফলে দেশে কচু ফসলের চাষাবাদ বাড়ানোর মাধ্যমে দেশের মানুষের পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সহায়ক হবে। কচু ফসলের এই কর্মসূচীর মাধ্যমে দেশের ২৫টি জেলায় গবেষণা কার্যক্রম, জমি উন্নয়ন ও বীজ বিতরণ পরিচালিত হবে। তাই আমি আশা করি, এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেশে কচু ফসলের চাষাবাদ যেমন বৃদ্ধি পাবে তেমনি বারি উদ্ভাবিত বিভিন্ন প্রকার কচু ফসলের জাতের চাষাবাদ বিস্তার লাভ করবে।