নিজস্ব প্রতিবেদক: মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, বাজারজাতকরণ, রপ্তানি এবং মৎস্যজাত পণ্য বহুমুখীকরণ ক্যাটাগরিতে গুরুত্বপূর্ণ রাখায় স্বর্ণ পদক অর্জন করেছে দেশের মৎস্য সেক্টরের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি এসিআই এগ্রো লিংক লিমিটেড। দেশের মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে সহ সামগ্রিক মৎস্যসম্পদের উন্নয়নে ভূমিকা রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ সরকার প্রতিষ্ঠানটিকে জাতীয় মৎস্য পদক -২০২২ এ স্বর্ণপদক ও ৫০ হাজার টাকা প্রদান করে।
রবিবার (২৪ জুলাই) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এসিআই এগ্রো লিংক লিমিটেড -এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এ.কে.এম ফারায়েজুল হক আনসারী’র হাতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে উক্ত পুরস্কার তুলে দেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক, এমপি। এ সময়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
এ সম্পর্কে এক প্রতিক্রিয়ায় এগ্রিনিউজ২৪.কম কে ড. আনসারী বলেন, আমরা এ পুরস্কার পেয়ে অত্যন্ত গর্বিত এবং উৎসাহিত বোধ করছি। আমরা বাংলাদেশকে আরো বেশি ব্র্যান্ডিং ও বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার জন্য কাজ করবো। শুধু চিংড়ি নয়, সাদা মাছও আমরা একইভাবে প্রক্রিয়াজাত করবো। বিশ্বের যে সব দেশে চিংড়ি ও সাদা মাছে চাহিদা আছে আমরা সেখানে রপ্তানি করবো।
ড. আনসারী বলেন, মাত্র দু’বছর আগে আমরা চিংড়ি ও মাছের প্রক্রিয়াজাত ব্যবসা শুরু করেছি। প্রথমেই আমরা চিংড়ির ধারনাটিকে ট্রান্সফরমেশন করেছি, সেখানে বাংলাদেশের চিংড়িকে বিশ্বের বুকে ব্র্যান্ডিং করা থেকে শুরু করে সবই করেছি। সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, আমাদের যেখানে চিংড়ি চাষ হয়, সেখানেই প্রসেস (প্রক্রিয়াজাত) হয় এবং চিংড়ি হারভেস্ট করার ৫ ঘণ্টার মধ্যেই সেগুলো প্রসেস হয়ে যায়। যার ফলে ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত হয় না এবং চিংড়ির কোয়ালিটি নিরাপদ ও অনেক ভালো থাকে। আমাদের এসব বিষয়গুলোকে দেশ বিদেশের ক্রেতা ও উন্নয়ন সহযোগিগণ অনেক বেশি সাদরে গ্রহণ করেছে। ফাইনালি সরকার এটিকে অত্যন্ত নিঁখুতভাবে দেখেছে এবং আমাদেরকে পুরস্কৃত করেছে।
উল্লেখ্য, এসিআই এগ্রোলিংক লিমিটেড মৎস্য ও মৎস্যজাতপণ্য বহুমুখিকরণে বিবেচ্য বৎসরে ১৭২৭ মে.টন মাছ রপ্তানি করে ১২৫ কোটি ৩৯ লাখ টাকা আয় করে। মূল্যায়ন বর্ষে প্রতিষ্ঠানের কনসাইনমেন্ট সংখ্যা ১০২টি। প্রতিষ্ঠানটিতে মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য উৎপাদনে HACCP অনুসরণ করা হয় এবং রপ্তানিকৃত পণ্যের ক্ষেত্রে কোন Rapid Alert জারি হয়নি। প্রতিষ্ঠানটিতে সার্বক্ষণিক ৬৩ জন এবং খন্ডকালীন ২৪১ জনসহ মোট ৩০৪ জনের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয় যা দেশের বেকারত্ব দূরীকরণে অনন্য অবদান রাখছে।