শনিবার , নভেম্বর ২৩ ২০২৪

বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিদ্রুপাত্মক সমালোচনার কঠোর জবাব দিতে হবে- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিদ্রুপাত্মক সমালোচনার কঠোর জবাব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত আলোচন সভায় মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য একটা ভয়াবহ প্রচেষ্টা দেশের ও দেশের বাইরে চলছে। ১৯৭৫ এর প্রেক্ষাপট রচনা কিছু লোক করেছিল। সে সময় আস্থিতিশীলতা সৃষ্টি, সরকারের বিরুদ্ধে মানুষকে ক্ষ্যাপিয়ে তোলা, অহেতুক বদনাম সৃষ্টি করাসহ ভয়াবহ নৈরাজ্যের একটি অবস্থা দেশের ভিতরে সৃষ্টি করেছিল কিছু মানুষ। সে মানুষরা নিঃশেষ হয়ে যায়নি। সামরিক শাসকদের গৃহপালিত বিরোধী দলে নেতৃত্ব দেওয়া এসব ব্যক্তিরা এখন বঙ্গবন্ধু কন্যাকে গণতন্ত্রের ছবক দিচ্ছে। তারা রাজনীতিতে পরিত্যক্ত ও উপেক্ষিত ব্যক্তিদের নিয়ে জোট গঠন করে নানাভাবে শিষ্টাচারহীন ভাষা ব্যবহার করছে, যেটা রাজনীতির ভাষা না। এ পরিস্থিতিতে মনেপ্রানে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাস করেন যারা, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যারা বিশ্বাস করেন তাদের ঐক্যের ভিত্তি দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর করা দরকার। মনে রাখতে হবে একজন শেখ হাসিনা থাকার কারণে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ আবার ফিরে এসেছে। একজন শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্ব না থাকলে মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব হতো না। একজন শেখ হাসিনা না থাকলে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দর্প চূর্ণ করে তাদের বিচার করে বিচারের রায় কার্যকর করা সম্ভব হতো না। এজন্য তাঁর হাতকে শক্তিশালী করা জাতীয় শোক দিবসের প্রতিজ্ঞা হওয়া উচিত।

মন্ত্রী যোগ করেন, দীর্ঘ ধারাবাহিক পরিকল্পনায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ‘গো অ্যাহেড’ বলে এগিয়ে যেতে বলেছিলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার মাস্টারমাইন্ড ছিল জিয়াউর রহমান। তাই বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার তদন্তে জিয়াউর রহমানের নাম আসা উচিত ছিল। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করা যাবে না এ আইন সংসদে পাস করেছে জিয়াউর রহমান। তাই আইনগতভাবে জিয়াউর রহমানই বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করতে দেয়নি।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারের পথ কন্টকাকীর্ণ ছিল উল্লেখ করে শ ম রেজাউল করিম আরও যোগ করেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রে যারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ছিল তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হয়নি। সে সময় বঙ্গবন্ধুর নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ ব্যক্তিদের বিচার করা হয়নি। বঙ্গবন্ধু হত্যার সুবিধাভোগীদেরও বিচার করা হয়নি। এজন্য বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে খন্ডিত বিচার, অসম্পূর্ণ বিচার। নির্দিষ্ট খুনিদের বিচার হয়েছে কিন্তু ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত অনেকেরই বিচার হয়নি। এখনও সে বিষয়টি সামনে নিয়ে আসা সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু অবিনাশী সত্তা। বঙ্গবন্ধু একটি আদর্শ, একটি বিশ্বাস, একটি দর্শন, পথ চলার পাথেয়। বঙ্গবন্ধুর আরোধ্য সাধনা ছিল একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। তিনি তা দিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধু যা কিছু রেখে গেছেন সেটা ধারণ করেই আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব এবং যুব ও ক্রীড়া সচিব মেজবাহ উদ্দিন, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া, বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ড. মো. সাঈদুর রহমান সেলিম প্রমুখ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।

This post has already been read 2682 times!

Check Also

ভেটেরিনারি ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ভ্যাব) এর বিক্ষোভ সমাবেশ

ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী আওয়ামলীগের বিদায়ের তিন মাস অতিক্রান্ত হলেও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে …