ফকির শহিদুল ইসলাম (খুলনা) : সুষম সার প্রয়োগ করলে ফসলের ফলন বাড়লেও এ ব্যাপারে দেশরে অধিকাংশ কৃষক উদাসীন। সুষম সার প্রয়োগ করলে ফলন বাড়ার পাশাপাশি সারের অপচয় কম হয়,কৃষক আর্থিক ভাবে লাভবান হয়, মাটির স্বাস্থ্য ভালো থাকে, পরিবেশ দূষণ কম হয়। এছাড়া সুষম সার ব্যবহার করলে ফসলের পুষ্টমিান ভালো থাকে । আর এই খাবার গ্রহণ করলে মানুষ অধিক পুষ্টি লাভ করে। এর ফলে বিবিধ লাভ হলেও কৃষক সুষম সার ব্যবহার করতে চায় না, কারণ সুষম সাররে মাত্রা তারা সহজে জানতে পারে না।
তবে ২০১৯ সাল হতে মৃত্তকিা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট র্কতৃক পরিচালিত গোপালগঞ্জ, খুলনা, বাগরেহাট, সাতক্ষীরা ও পিরোজপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প (এসআরডিআই অংগ) কৃষকদের মাঝে সুষম সার প্রয়োগের জন্য মাঠ পর্যায়ে
কৃষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করে আসছে। আজ কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থায়নে খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার মির্জাপুর গ্রামে কৃষক প্রশক্ষিণ অনুষ্ঠিত হয়ছে। প্রশিক্ষণে ৩০ জন কৃষক অংশগ্রহণ করে। প্রশিক্ষক হিসাবে উপস্থতি ছিলেন, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট এর র্ঊধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সামসুন নাহার রত্না,প্রশিক্ষনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গোপালগঞ্জ, খুলনা, বাগরেহাট, সাতক্ষীরা ও পিরোজপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প (এসআরডিআই অংগ এর প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক অমরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস।
প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষক জানান, সুষম সার ব্যবহার করলে ফসলের ফলন বৃদ্ধি পায়,সারের অপচয় কম হয়, কৃষক আর্থিক ভাবে লাভবান হয়। তিনি এজন্য মাটি পরীক্ষা করে সার প্রয়োগের পরামর্শ প্রদান করনে। মাটি পরীক্ষার জন্য একটি জমির ৯টি স্থানের উপরিস্তরের মাটি নিয়ে ভালো করে শুকিয়ে, গুড়ো করে নিতে হবে। এরপর মাটি ভালো করে গুড়ো করে আগাছা, শিকড়বাকড় পরিস্কার করে ভালো করে মিশিয়ে তার থেকে ৫০০ গ্রাম মাটি পরিস্কার পলিথিন ব্যাগের মধ্যে নিতে হবে। এরপর কৃষকের নাম, ঠিকানা ও যে ফসল চাষ করতে ইচ্ছুক সেই ফসলের জাতসহ নাম উল্লেখ করে ব্যাগের সাথে বেঁধে দিতে হবে। তারপর মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট এ পাঠাতে হবে।
প্রশিক্ষণের প্রধান অতিথি অমরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, র্বতমান সরকার কৃষকদের উন্নয়নে কাজ করে চলছে। এর মধ্যে অন্যতম কার্যক্রমটি হলো, সারে ভর্তুকি প্রদান করা। সরকার সার ক্রয়ে অনেক টাকা ভর্তুকি প্রদান করে থাকে তাই, আমাদরে সকলরে উচিৎ সুষম সার ব্যবহার করা। সুষম সার ব্যবহার করলে সারের একদিকে যেমন সারের অপচয় কম হবে অন্যদিকে সরকারকে কম ভর্তুকি প্রদান করতে হবে। এছাড়া, সুষম সার প্রয়োগের ফলে ফসলের গুণগতমান যেমন অক্ষুন্ন থাকবে, তেমনি আমরা ২০-২৫% অধিক ফলন নিশ্চিত করতে পারবো।