নিজস্ব প্রতিবেদক: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, এমপি বলেছেন, এখন থেকে বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড টেরিফ কমিশন আমদানিকারক ও সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সাথে আলাপ আলোচনা করে যৌক্তিক মূল্য নিশ্চিত করতে পণ্যের মূল্য প্রতিমাসেই নির্ধারণ করে দিবে। অবিলম্বে এ কাজ শুরু করা হবে। পণ্যগুলো হলো চাল, গম (আটা, ময়দা) ভোজ্যতেল, (সয়াবিন, পাম), পরিশোধিত চিনি, মশুর ডাল, পেঁয়াজ, রড় এবং সিমেন্ট। এছাড়াও, কোন পণ্যের অযৌক্তিক মূল্য বৃদ্ধি করা হলে সেগুলোরও মূল্য নির্ধারণ করে দিবে সরকার।
বাণিজ্যমন্ত্রী আজ (৩০ আগষ্ট) ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য, সরবরাহ ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত সভায় সভাপতিত্ব করে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ, মজুত ও মূল্য স্বাভাবিক রাখতে সবধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ভোক্তার অধিকার সুরক্ষায় বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড টেরিফ কমিশন এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর কাজ করে যাচ্ছে। ব্যবসায়ী সংগঠন, ব্যবসায়ী এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সততার সাথে ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য সবধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে। এরপরও দেখা যাচ্ছে কিছু পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এ ধরনের অনিয়মের বিরুদ্ধে নিয়মিত বাজার অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এখন থেকে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে শুধু জরিমানা আদায় নয়, কঠোর আইনি ব্যবস্থাও নেয়া হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্য তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে সরকার তেলের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করে দিচ্ছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন ও পাম ওয়েল এর মূল্য কিছুটা কমলেও ডলারের মূল্য বৃদ্ধির কারণে এর সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। সরকার এ বিষয়ে সতর্ক আছে, কিছুদিন পর পর এর মূল্য সমন্বয় করা হচ্ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্বাভাবিক রাখতে সরকার ইতোমধ্যে চাল আমদানীর ওপর থেকে ট্যাক্স তুলে নিয়েছে। জ্বালানী তেলের মূল্য কমানো হয়েছে। প্রয়োজনে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে এ ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হতে পারে, তবে ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষা এবং দেশীয় শিল্প সুরক্ষার নামে যাতে কেউ অনৈতিক সুযোগ নিতে না পারে, সেদিকেও নজর রাখা হবে। এ ক্ষেত্রে অনিয়ম পাওয়া গেলে কঠোর আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
সভাটি পরিচালনা করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। সভায় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড টেরিফ কমিশনের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপার্সন মো. মফিজুল ইসলাম, ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশ(টিসিবি) এর চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, আরেঅচ্য বিসয়ের উপর একটি উপস্থাপনা তুলে ধরেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব(আইআইটি) এ কে এম আলী আহাদ খান, এফবিসিসিআই এর প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মোস্তফা আজাম চৌধুরী বাবু, চট্রগ্রাম চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম। এছাড়া, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ সভায় যোগদান করেন।