নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে সার ব্যবহারের সুপারিশকৃত পরিমাণ এবং বাস্তবে কৃষকেরা কতটুকু ব্যবহার করে-তার পার্থক্যের প্রতিবেদন চূড়ান্ত করার কাজ চলছে। আজ রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে ০৬ দিনব্যাপী এই চূড়ান্ত পর্যালোচনা কাজের উদ্বোধন করেন কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম।
নিউট্রিয়েন্ট ম্যানেজমেন্ট ফর ডাইভার্সিফাইড ক্রপিং ইন বাংলাদেশ’ (NUMAN) শীর্ষক ০৫ বছর মেয়াদী এই গবেষণাকর্মটি অস্ট্রেলিয়ান সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল রিসার্চ এবং দেশের কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে অস্ট্রেলিয়ার মার্ডক বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করছে। এ কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মার্ডক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রিচার্ড বেল। পার্টনার হিসেবে বিএআরসি, বারি, ব্রি, বাকৃবি, মৃত্তিকা সম্পদ ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই প্রজেক্টটি ২০১৮ সালে কাজ শুরু করে। শেষ হবে এ বছরের ডিসেম্বর মাসে। এখন চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরির কাজ চলছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিসচিব বলেন, এ গবেষণার মাধ্যমে প্রাপ্ত সুপারিশসমূহ দেশের সার ব্যবস্থাপনা ও নীতি প্রণয়নে সহায়ক হবে।
আজকের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মার্ডক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অ্যান্ডু ডিকস, বারির মহাপরিচালক দেবাশীষ সরকার, মৃত্তিকা সম্পদ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক, প্রজেক্টের সমন্বয়কারী বখতিয়ার হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
প্রবন্ধ উপস্থাপনায় বলা হয়, শস্যের নিবিড়তা বৃদ্ধি, উন্নতজাতের জাতের ব্যবহার ও পুষ্টি ব্যবস্থাপনার ফলে দেশে ১৯৭০ সালের তুলনায় বর্তমানে খাদ্যশস্যের উৎপাদন ৩০০% বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু বর্তমানে শস্যের উচ্চ নিবিড়তা, হ্রাসযোগ্য জমি হ্রাস, শস্য বহুমুখীকরণ প্রভৃতি কারণে পুষ্টি ব্যবস্থাপনার টেকসই ও লাভজনক ব্যবহারের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়গুলোকে সামনে রেখেই গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছে। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এটি পুষ্টি ব্যবস্থাপনা টেকসই ব্যবহারের সুপারিশমালা তুলে ধরবে।