জাহিদ হাসান (বাকৃবি): কৃষিগুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) আগত পরীক্ষার্থীদের সহযোগিতা ও সেবা প্রদানে ব্যাপক তৎপরতা দেখা যায় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের। ভর্তি পরীক্ষার আগের দিন থেকে পরীক্ষা পরবর্তী সময় পর্যন্ত ভর্তিচ্ছুদের সহযোগিতায় ৭ ধরনের সেবা প্রদান করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।
দূর থেকে আগত ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীদের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা, পরীক্ষার্থীদের জন্য মডেল টেস্ট, ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্পটে হেল্প ডেক্স, সার্বক্ষণিক স্বেচ্ছাসেবী নিয়োজিত রাখা, অভিভাবকদের বিশ্রামের ব্যবস্থা, পরীক্ষার্থীদের জন্য খাবার পানির ব্যবস্থা, বাইক সার্ভিসের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে পৌছে দেওয়া সহ পরীক্ষার্থীদের বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেওয়ার কাজে নিয়োজিত দেখা যায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের।
জানা যায়, শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) কৃষি সম্পর্কিত ৮ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় বাকৃবি কেন্দ্রে অংশগ্রহণ করে প্রায় ১২ হাজার পরীক্ষার্থী। পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য বিভিন্ন জেলা থেকে আগের দিনই পরীক্ষার্থীরা আসতে শুরু করে। রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল আবাসিক হলগুলোতে তাদের থাকার ব্যবস্থা করে শাখা ছাত্রলীগ। অনেক নেতাকর্মীই পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে নিজেদের সিট ছেড়ে তাদের আবাসনের ব্যবস্থা করেন।
আবাসনের পাশাপাশি পরীক্ষার্থীদের জন্য রাতে সকল আবাসিক হলে মডেল টেস্ট পরীক্ষার ব্যবস্থা করে ছাত্রলীগ। মডেল টেস্টে ভালো ফলাফলকারীদের পুরস্কৃত করা হয়। রাতে ঝড়ের কারণে মডেল টেস্ট চলাকালীন সময়ে বিদ্যুত চলে গেলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে পরীক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের পরীক্ষায় সহযোগিতা করেন।
পরীক্ষার দিন সকাল থেকেই মাঠে দেখা যায় ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দকে। পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্র দেখিয়ে দেওয়া, কেন্দ্রে পৌছে দেওয়া, খাবার পানির ব্যবস্থা সহ বিভিন্ন দিক নির্দেশনামূলক কাজে নিয়োজিত দেখা যায় তাদের।
বগুড়া থেকে আগত আশফিকুর শাওন নামের এক পরীক্ষার্থী বলেন, আমি পরীক্ষার আগের দিন বিকালেই বাকৃবিতে আসি। রাতে কোথায় থাকবো, সেটা নিয়ে একটু চিন্তায় ছিলাম। এখানে আসার পর শহীদ নাজমুল আহসান হলের ছাত্রলীগের এক ভাইয়া আমার থাকার ব্যবস্থা করেন। রাতে একটা মডেল টেস্টও দিয়েছি। যারা ভালো করেছে, তাদের পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। আমি পুরস্কার পাইনি, তবে মডেল টেস্টটা কাজে দিয়েছে।
এ বিষয়ে বাকৃবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তায়েফুর রহমান রিয়াদ বলেন, দূর থেকে আগত পরীক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে এসে যাতে কোনো ধরনের সমস্যায় না পড়ে, তার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি আমরা। আমাদের এই প্রচেষ্টা ছাত্রলীগের পরিশীলিত রাজনীতি চর্চার একটি অংশ মাত্র। ভবিষ্যতেও শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাম্পাস গঠনে আমরা এভাবেই কাজ করে যাবো।
শাখা ছাত্রলীগের পাশাপাশি পরীক্ষার্থীদের সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনকেও পাশে থাকতে দেখা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জেলা সমিতি, রোভার স্কাউট, রোটারেক্ট ক্লাব, বিভিন্ন অনুষদীয় ছাত্র সমিতিসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পরীক্ষার্থীদের সহযোগিতামূলক কাজে অংশ নেয়।