ফকির শহিদুল ইসলাম (খুলনা): বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তাল খুলনার দাকোপের করো পশুর, শিবসা, ঢাকী, চুনকুড়ি, বাদুর গাছা নদী। নিম্নচাপের প্রভাবে নদীর পানি স্বাভাবিক এর চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট বৃদ্ধি ও প্রবল জোয়ারের তোড়ে ১৩ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) রাতে চুনকুড়ি জি গ্যাসের পাশে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে ৮টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ৩টি বসতঘর বাড়ি।
সরেজমিনে জানা যায়, আইলার পরবর্তী সময় বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে উপজেলার ৩২ এবং ৩৩ নং পোল্ডারের বেড়িবাঁধ সংস্কার কাজ প্রায় ৯০ শতাংশ সম্পন্ন হলেও ওই বাঁধ নির্মাণ করায় ৩৩নং পোল্ডারের বাজুয়া ইউনিয়নের চুনকুড়ি এনার্জি প্যাক জি গ্যাস কোম্পানির উত্তর পশ্চিম পাশে গত মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে প্রায় ৫ শত মিটার পাউবোর বেড়িবাঁধের (নব নির্মিত মূল রাস্তার এক তৃতীয় অংশ চুনকুড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। এ ঘটনায় ওই এলাকার ৮টি ক্ষুদ্র ব্যবসায়িক প্রতিষ্টান ও ৩টি বসত ঘর চুনকুড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে।
চুনকুড়ি নদী ভাঙ্গনের শিকারে মিকাইল সানা,তোতা বিবি,মামুন,ফারুক মালঙ্গী,বাবর আলী গাজী, তপন ঢালী,রবিউল গাজী, শংকর মন্ডল,রেবেকা বেগমের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এবং আঙ্গুরা বেগম,জয়নাল গাজী, লৎফর রহমানের বসতঘর বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে।
বাজুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মানস মুকুল রায় বলেন,চুনকুড়ি জি গ্যাস কোম্পানির পাশে পাউবোর বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ফাটাল দেখা দিলে আমি তাৎক্ষনিক ভাবে কর্তৃপক্ষকে অবগত করি। কিন্তু তারা এখানে কার্যত পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় আজ চুনকুড়ি নদী গর্ভে ৮টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ৩টি বসতঘরবাড়ি বিলীন হয়েছে। এ ঝুকিপূর্ণ নদী ভাঙ্গন এলাকায় দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে যে কোন মুহুর্তে অবশিষ্ট বাঁধ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে অত্র ৩৩নং পোল্ডারের ৫টি ইউনিয়ন প্লাবিত হওয়ার আশংকা রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিন্টু বিশ্বাস বলেন, চুনকুড়ি নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন পূর্বক পাউবোরসহ উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে দ্রুত ভাঙ্গন কবলিত স্থানে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলেছি।
খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল আলম বলেন, নিম্নচাপসহ নদীর পানি বৃদ্ধি ও প্রবল জোয়ারের তোড়ে ৩৩নং পোল্ডারের চুনকুড়ি এনার্জী প্যাক জি গ্যাসের নদী ভাঙ্গনের খবর পেয়েছি। তিনি আরো বলেন,৩২ ও ৩৩নং পোল্ডারের মেরামতের দায়িত্ব বিশ্বব্যাংক হাতে নেওয়ায় ওই পোল্ডারের কাজ এখন আর পাউবো’র করার এখতিয়ার নেই । বিশ্বব্যাংক উন্নত প্রযুক্তিতে বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ করেছেন।