রবিবার , নভেম্বর ১৭ ২০২৪

চালের চাহিদার তুলনায় উৎপাদন বৃদ্ধির গতি পিছিয়ে-কৃষিমন্ত্রীর

 নিজস্ব সংবাদাতা: প্রতিবছর জনসংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে চালের চাহিদাও বাড়ছে। কিন্তু চাহিদা বৃদ্ধির অনুপাতে চালের উৎপাদন বৃদ্ধির গতি কিছুটা পিছিয়ে আছে। আমরা যে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ সেটাকে ধরে রাখতে হবে। প্রতিবছর যাতে চাল আমদানি করতে না হয়। সেজন্য চালের চাহিদার গতির সাথে তাল রেখে উৎপাদন বাড়াতে হবে।

২৫ সেপ্টেম্বর (রবিবার) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক (এমপি) এসব কথা বলেন। এ সময় মন্ত্রী চালের চাহিদার সাথে তাল রেখে উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বিজ্ঞানী, সম্প্রসারণকর্মী ও কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।

দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ত জমিতে চালসহ বিভিন্ন ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বৃহৎ ও সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি নেয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হলো দেশের দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ত এলাকা। লবণাক্তসহিষ্ণু ফসলের জাত ও প্রযুক্তি আমাদের রয়েছে, সেখানে এসব জাত ও প্রযুক্তির দ্রুত সম্প্রসারণ করতে হবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। একই সাথে, প্রকল্প এলাকার মানুষের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে কী প্রভাব পড়েছে ও সার্বিক উৎপাদন কতটা বেড়েছে, তাও খতিয়ে দেখতে হবে। জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে বসে থাকলে হবে না। জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনের অনুপাতে মাঠে কৃষকের কাছে কতগুলো পৌঁছেছে-তাও বিবেচনায় নিতে হবে।

সভায় জানানো হয়, চলমান ২০২২-২৩ অর্থবছরের এডিপিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় ৭২টি প্রকল্পের অনুকূলে মোট ৪ হাজার ১৩৮ কোটি টাকা বরাদ্দ আছে। এবছর সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ আছে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পে যার পরিমাণ ৬৬০ কোটি টাকা।

সভাটি সঞ্চালনা করেন, কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম। এসময় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং সংস্থাপ্রধানসহ প্রকল্প পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

 

This post has already been read 2766 times!

Check Also

জলঢাকায় সোনালী ধানের শীষে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন

বিধান চন্দ্র রায় (নীলফামারী) : নীলফামারীর জলঢাকায় মাঠের যে দিকে চোখ যায়, সেদিকেই সবুজের সমারোহ। …