গাজীপুর সংবাদদাতা: বর্তমানে দেশে বছরে ১৫ হাজার মেট্রিক টন গ্রীষ্মকালীন টমেটো উৎপাদিত হচ্ছে। পাশাপাশি বিদেশ থেকে প্রায় ২০ হাজার মেট্রিক টন টমেটো আমদানি করতে হচ্ছে। তবে দেশে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর উৎপাদন বাড়ানো গেলে কৃষকেরা যেমন লাভবান হবে একই সাথে আমাদের টমেটো আর আমদানি করার প্রয়োজন হবে না।
সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) “বারি উদ্ভাবিত গ্রীষ্মকালীন হাইব্রিড টমেটো উৎপাদন ব্যবস্থাপনা” শীর্ষক প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বারি’র মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এর সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, গাজীপুর এর আয়োজনে বারি’র সেমিনার কক্ষে উক্ত অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সকালে বারি’র মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন। ‘বাংলাদেশে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর অভিযোজন পরীক্ষা, উৎপাদন ও কমিউনিটি বেস্ড পাইলট প্রোডাকশন প্রোগ্রাম’ শীর্ষক কর্মসূচীর অর্থায়নে আয়োজিত দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণে বারি’র সরেজমিন গবেষণা বিভাগের বিভিন্ন কেন্দ্রের ৩০ জন বিজ্ঞানী অংশগ্রহণ করেন।
ড. দেবাশীষ সরকার বলেন, বর্তমানে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বিপুল পরিমাণ জমিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর আবাদ হচ্ছে। এ বছর আমরা বারি’র পক্ষ থেকে আমাদের নিজেদের উৎপাদিত হাইব্রিড টমেটোর বীজ কৃষকদের মাঝে সরবরাহ করেছি এবং আগামীতেও আমরা কৃষকদেরকে গুণগত মানসম্পন্ন বীজ তুলে দিতে চাই। আমরা আশা করছি দেশে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে আমরা টমেটো রপ্তানির দিকে এগিয়ে যাবো।
সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, গাজীপুরের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রধান ড. মো. মাজহারুল আনোয়ার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিসেফ ফাউন্ডেশন এর প্রেসিডেন্ট ড. মো. জয়নুল আবেদীন, বারি’র পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ) ড. মো. কামরুল হাসান, পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. তারিকুল ইসলাম, পরিচালক (পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন) ড. অপূর্ব কান্তি চৌধুরী এবং পরিচালক (উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র) ড. গোবিন্দ চন্দ্র বিশ্বাস। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, গাজীপুরের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ‘বাংলাদেশে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর অভিযোজন পরীক্ষা, উৎপাদন ও কমিউনিটি বেস্ড পাইলট প্রোডাকশন প্রোগ্রাম’ শীর্ষক কর্মসূচীর পরিচালক ড. মো. ফারুক হোসেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, গাজীপুরের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শেখ ইশতিয়াক।