ফারুক রহমান, (সাতক্ষীরা): সাতক্ষীরার নগরঘাটায় ঘেরের বাঁধে মিষ্টি কুমড়ার চাষ করে বিপাকে পড়েছে কৃষক। এ বছর অনাবৃষ্টির কারনে লোকসানের আশংকা করছে কৃষকরা এদিকে, লোকসান পুষিয়ে নিতে ঘেরের বাঁধে মিষ্টি কুমড়ার চাষ করে লাভের আশায় বুক বেঁধেছেন সাতক্ষীরার তালা উপজেলার নগরঘাটা গ্রামের মাছচাষিরা। কুমড়া চাষে এবার বাম্পার ফলন হওয়ায় কিছুটা হলেও ফুরফুরে মেজাজে আছেন তারা। তবে অনাবৃষ্টিতে তরি-তরকারি চাষ খরচটা একটু বেশি হয়েছে বলে জানান একাধিক চাষি।
মিষ্টি কুমড়ার পাশাপাশি মাচান পদ্ধতিতে ও বাঁধে ঢেঁড়শ, কাচা মরিচ, বরবটি, পুইশাক, তরমুজ, করলাসহ অন্যান্য ফসলের চাষ এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মাছ চাষের পাশাপাশি দৈনিক বাড়তি আয় এখান থেকে পাওয়া যায়। সে সাথে ঘেরের বাঁধে দীর্ঘদিন মজবুত থাকে।
বেঙ্গল সুইট-২ হাইব্রিড জাতের ১৪শত বীজের চারা ঘেরের বাঁধে রোপন করেছেন দক্ষিণ নগরঘাটা গ্রামের মৃত্যু আব্দুল গফুর সরদারের ছেলে মশিয়ার রহমান।
পশ্চিম বিলের ১০ বিঘা ঘেরের ঘেড়িতে তিনি এই মিষ্টি কুমড়ার চাষ করেছেন। বীজ সংগ্রহ করেছেন খুলনা জেলাধীন চুকনগর বাজার থেকে।
কৃষক মশিয়ার রহমান জানান, চারা রোপন থেকে শুরু করে ফলন ওঠা পর্যন্ত মোট খরচ হয়েছে আনুমানিক ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মতো। চারা রোপন থেকে মাত্র দুই মাসের মধ্যে কুমড়ার গাছে ফলন এসেছেন। বর্তমানে বাজার দর ২৭ থেকে ৩০ টাকা হারে পাওয়া যাচ্ছে। তবে এভাবে যদি বাজার দর স্থিতিশীল থাকে তাহলে তিন লক্ষাধিক টাকার মিষ্টি কুমড়া কেনাবেচা হতে পারে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
কাপাসডাঙা এলাকার কৃষক শংকর শীলসহ একাধিক কৃষক জানান, বৃষ্টির কারণে ফলন একটু কম। চাষাবাদে খরচ বেশি হচ্ছে। কৃষি বিভাগের কোন কর্মকর্তার পরামর্শ এখনো আমরা পায়নি।
এ ব্যাপারে জানতে একাধিকবার কল দিয়েও তালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।