বুধবার , ডিসেম্বর ১৮ ২০২৪

সবাই সম্মিলিতভাবে ইঁদুর মারি, দেশের মূল্যবান সম্পদ রক্ষা করি

কৃষিবিদ মো. আব্দুল্লাহহিলকাফি : ’এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে’ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী কৃষির সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় শস্যের নিবিড়তা বেড়েই চলেছে। ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের পর সর্বাধিক উন্নতি হয়েছে কৃষি সেক্টরে। দেশের জিডিপিতে কৃষি খাতের অবদান ১৩.০২ শতাংশ এবং মোট শ্রমশক্তির ২৪৬৯৩০০০ জন বা ৪৮ ভাগ কৃষিতে নিয়োজিত। বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকারের মুখ্য উদ্দেশ্য খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনসহ এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখা। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগ সহ ফসলের বালাই, করোনার ন্যায় মহামারী ও ইঁদুরের আক্রমণের ফলে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে।

২০১৩ সালের এক গবেষণা মতে, এশিয়ায় ইঁদুর বছরে যা ধান-চাল খেয়ে নষ্ট করে তা ১৮ কোটি মানুষের এক বছরের খাবারের সমান। আর শুধু বাংলাদেশে ইঁদুর ৫০-৫৪ লাখ লোকের এক বছরের খাবার নষ্ট করে। এরা যে শুধুই কাটাকুটি করে আমাদের ক্ষতি করে তা নয়, এরা মানুষ ও পশু পাখির মধ্যে প্লেগ, জন্ডিস, টাইফয়েড, চর্মরোগ, আমাশয়, জ্বর, কৃমি সহ প্রায় ৬০ প্রকার রোগ জীবাণুর বাহক ও বিস্তারকারী। একটি ইঁদুর প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২৭ গ্রাম খাদ্য খেয়ে থাকে। আর যা খায় তার ৪-৫ গুণ নষ্ট করে।

বাংলাদেশে ইঁদুরের আক্রমণে বছরে আমন ধানের ৫-৭%, গম ফসল ৪-১২%, গোল আলু ৫-৭%, আনারস ৬-৯% নষ্ট হয়। গড়ে মাঠ ফসলের ৫-৭% এবং গুদামজাত শস্য ৩-৫% ক্ষতি করে থাকে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের হিসেবে, ইঁদুর দেশের প্রতিটি মুরগির খামারে বছরে ১৮ হাজার টাকার ক্ষতি করে। দৈনিক ভোরের কাগজ, ডিসেম্বর, ২০২০-এ প্রকাশিত তথ্য মতে, একশ ইঁদুর বছরে ১ মেট্রিক টন খাদ্য খায়।

ইসলামের দৃষ্টিতে ইঁদুর নিধন
হযরত ইবনে জুরায়জ রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আমি নাফি রাহমাতুল্লাহি আলাইহির কাছে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহুকে মুহরিম ব্যক্তির জন্য কোন্ কোন্ প্রাণী হত্যার বৈধতা ঘোষণা করতে শুনেছেন? তখন নাফি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি আমাকে বললেন, হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি- ‘এমন পাঁচ প্রকারের প্রাণী আছে, কোনো ব্যক্তি তা হত্যা করলে তার কোনো গোনাহ হবে না। (আর তাহলো)- কাক, চিল, বিচ্ছু, ইঁদুর ও হিংস্র কুকুর। (মুসলিম শরিফ)।

ইঁদুর সম্পর্কিত সাধারণ তথ্যাবলী

  • বাংলাদেশে ১১ প্রজাতির ইঁদুর রয়েছে;
  • ইঁদুরের সামনের দাঁত জন্ম থেকেই বাড়তে থাকে;
  • এরা গর্তে ২০ কেজিরও বেশি খাদ্য জমা করতে পারে;
  • ইঁদুর দৈনিক তার শরীরের ওজনের এক দশমাংশ খাবার খায়;
  • ইঁদুর যা খায় তার চেয়ে ৫ থেকে ১০গুন বেশি ক্ষতি করে;
  • একটি ইঁদুর বছরে ৫০ কেজি গোলাজাত শস্য নষ্ট করে ;
  • প্রতি জোড়া ইঁদুর হতে বছরে ৩০০০টি ইঁদুর জন্ম নিতে পারে;
  • ইঁদুর বছরে ৬ থেকে ৮ বার বাচ্চা দেয়;
  • ইঁদুর প্রতিবারে ৩ থেকে ১৩টি বাচ্চা দিতে পারে;
  • বাচ্চা প্রসবের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে আবারও গর্ভধারন করতে পারে;
  • ইঁদুরের গর্ভধারণ কাল ১৮-২২ দিন;
  • তিন মাসের মধ্যেই ইঁদুর বড় হয়ে আবার বাচ্চা দিতে পারে;
  • ইঁদুরের শ্রবন ও ঘ্রানশক্তি খুবই প্রকট তবে এরা রং নির্ণয় করতে পরে না।

ইঁদুর দমনের জন্য উপযুক্ত সময়
যে কোন ফসলের থোড় আসার পূর্বে ইদুর মারতে হবে। এ সময় ইঁদুরের সংখ্যা কম থাকে, মাঠে খাবার কম থাকে বলে সহজে বিষটোপ খেয়ে থাকে। ঘর-বাড়িতে বর্ষার সময় ও সারা বছর ইঁদুর মারতে হবে। গভীর ও অগভীর সেচ নালায় প্রথম পানি ছাড়ার দিন ইঁদুর মারতে হবে। তবে ইঁদুর দমনের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময় ভাদ্র থেকে মধ্য কার্তিক। ধান রোপণের সময় ও রোপণের ৪৫-৫০ দিনের মধ্যে ধানের জমি ও আশপাশের এলাকার ইঁদুর দমনের ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

ইঁদুর দমন পদ্ধতিকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা যায়।

১. অরাসায়নিক বা যান্ত্রিক পদ্ধতিতে দমন

২. রাসায়নিক পদ্ধতিতে দমন এবং

৩. জৈবিক পদ্ধতিতে দমন।

১.       অরাসায়নিক পদ্ধতি মানে ভৌতিক ও যান্ত্রিক কলাকৌশল যেমন-

– ঘর-বাড়ির আশেপাশে আবর্জনা, ঝোপঝাড় পরিস্কার করা।

– ক্ষেতের আশ-পাশে ঝোপ-ঝাড়, আগাছা পরিস্কার করা।

– গুদামের ঘর পরিস্কার  রাখা এবং গুদামের দরজার ফাঁক বন্ধ করা।

– গর্ত খুঁড়ে ইঁদুর পিটিয়ে মারা এবং বিভিন্ন ধরনের ফাঁদ ব্যবহার করে।

– ইঁদুরের গর্তে মরিচ পোড়ানো ধোঁয়া দিয়ে ইঁদুরকে মারার ব্যবস্থা করা।

– বিভিন্ন প্রকার ফাঁদ পেতে ইঁদুর মারার ব্যবস্থা নেওয়া।

– ইঁদুরের গর্তে পানি ঢেলে ইঁদুর বের করে মেরে ফেলা।

– ক্ষেতের আইল চিকন (যেমন- ৬ থেকে ৮ ইঞ্চি) রেখে ক্ষেতে ইঁদুরের প্রকোপ কমানো যায়।

– একই এলাকার ধান ফসল একই সময়ে লাগানো ও কর্তন করা হলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হয়।

– ধান ক্ষেতের চারদিকে এক মিটার উচ্চতায় পলিথিন দ্বারা ঘিরে দিয়ে ইঁদুরের আক্রমণ প্রতিরোধ করা যায়।

– আগে পাকে এমন স্বল্প জীবনকালের ধান (যেমন- ব্রিধান৬২) চাষ করে একে ফাঁদ ফসল হিসেবে ব্যবহার করে ইঁদুর দমন করা যেতে পারে।

– বিভিন্ন যান্ত্রিক উৎপীড়ক (রিপেলেন্ট) যেমন- জমিতে ভিডিও ফ্লিম টানিয়ে।

– ইঁদুর দমনের জন্য মানুষের প্রতিকৃতি জমিতে দিয়ে ইঁদুরকে সাময়িক সরিয়ে রাখা যায়।

– ইঁদুর তাড়ানোর জন্য আমন ধান ক্ষেতে পলিথিনের ঝান্ডা উড়ালে সুফল পাওয়া যাবে।

. রাসায়নিক পদ্ধতিতে ইঁদুর দমনে তিন ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা হয়।

ক) একমাত্রা বিষটোপ।

খ) দীর্ঘমেয়াদি বিষটোপ

গ) বিষবাষ্প প্রয়োগ

) একমাত্রা বিষটোপ :
এ ধরনের বিষটোপ ইঁদুর একবার খেলেই সঙ্গে সঙ্গে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মারা যায়। গমে মিশ্রিত জিংক ফসফাইড (<২%) বিষটোপ এর মধ্যে সর্বাধিক পরিচিত। জিংক ফসফাইড ছাড়া শুধু গম কয়েক দিন দিয়ে অভ্যাস করে হঠাৎ একদিন জিংক ফসফাইড মিশ্রিত গমপ্রদান করতে হবে।

) দীর্ঘমেয়াদি বিষটোপ :
এ ধরনের বিষ খাওয়ার সাথে সাথে ইঁদুর মারা যায় না। ইঁদুর মারা যেতে ৫-৭ দিন সময় লাগে। দীর্ঘস্থায়ী বিষ হচ্ছে রেকুমিন, ব্রোডইফেকুন থেকে দীর্ঘস্থায়ী বিষ দিয়ে তৈরিকৃত বিষটোপ ইঁদুর খাওয়ার পর ইঁদুরের রক্ত জমাট বাঁধার ক্ষমতা ধীরে ধীরে লোপ পায়,ফলে ইঁদুরের নাক, মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে এবং ৫-৭ দিনের মধ্যে মারা যায়। এ ধরনের বিষ প্রয়োগে অনেক ইঁদুর মারা সম্ভব।  সরকার অনুমোদিত ব্রমাডিওলোন ও জিংক ফসফাইড গ্রুপের ইঁদুরনাশক (যেমন-ল্যানির্যারট, ব্রমাপয়েন্ট, রেটক্স, জিংক ফসফাইড ইত্যাদি)

) বিষবাষ্প প্রয়োগ
অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড গ্যাস বড়ি ব্যবহারের মাধ্যমে বিষটোপ প্রয়োগ করে গর্তের ইঁদুর মারা খুবই কার্যকর। একটি গর্তে একটি গ্যাস বড়ি প্রয়োগ করে গর্তের সকল মুখ ভালভাবে বন্ধ করে দিতে হবে। পরের দিন যদি গর্তের মুখ খোলা পাওয়া যায় তবে আরো একটি গ্যাস বড়ি অনুরূপভাবে প্রয়োগ করতে হবে।

জৈবিক পদ্ধতিতে ইঁদুর দমন
জৈবিক পদ্ধতি হলো অন্য জীবের সাহায্যে দমন। পেঁচা, শিয়াল, বেজি, বন বিড়াল, সাপ, গুঁইসাপ, বিড়াল জাতীয় প্রাণীর প্রধান খাদ্য হচ্ছে ইঁদুর। তাই এদের বংশ বৃদ্ধি করে ইঁদুর দমন করা যায়। উন্নত কৃষির দেশ সূমহে এদের বংশবৃদ্ধির ব্যপারে সচেতনতা লক্ষ্য করা যায়।

করোনা সংকট দীর্ঘায়িত হলে করোনা পরবর্তী পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ হবে তা অনুমান করা কঠিন। তবে এখনি সতর্ক না হলে মারাত্মক ঝুকির মধ্যে পড়তে পারে চলমান খাদ্য নিরাপত্তা বলয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আহবানকে সাড়া দিয়ে করোনা সংকটের সময় চলমান খাদ্য নিরাপত্তাকে ধরে রাখতে আমরা যে কাজ গুলি করতে পারি তা হলো-

১. বসতবাড়ির আঙ্গিনায় ও আশেপাশে আমড়া, জলপাই, পেয়ারা, লেবু জাতীয় ফল, পেঁপে ও অন্যান্য প্রচলিত এবং অপ্রচলিত ফল চাষ করি।

২. প্রতিটি বসতবাড়ির আঙ্গিনায় বেড পদ্ধতিতে বা কালিকাপুর মডেলে টমেটো, লালশাক, পুইশাক, বেগুন ঢেরশ, কলমীশাক, করলা ইত্যাদি সবজি চাষ করি এবং সম্ভাব্যস্থানে দুই সারি মসলা ফসল হিসেবে আদা ও হলুদ চাষ বৃদ্ধি করি।

৩. পুকুরপাড়, রাস্তার পাশে, পতিত জায়গায়, বসতবাড়িতে ও জমির আইলে সবজি ও ফল চাষ নিজে করি এবং অন্যকে উদ্বুদ্ধ করি।

৪. নদী, পুকুর , জলাশয়, খাল ইত্যাদিতে পানি ধরে রেখে খরার সময় কৃষিকাজে ব্যবহার করে উৎপাদন বৃদ্ধি করি।

৫. অক্টোবর হতে মার্চ মাস পর্যন্ত আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় নির্দিষ্ট কিছু শাক-সব্জী যেমন- পেঁয়াজ, ডাঁটাশাক, লালশাক, পালংশাক, মুলা, গাজর, টমেটো, মরিচ ইত্যাদির বীজ উৎপাদন করি ।

৬. ছাদকৃষি গড়ে তুলি এবং ফুলচাষ সম্প্রসারণ করি।

৭. বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ট্রাইকোকম্পোস্ট, ভার্মিকম্পোষ্ট, কুইক কম্পোষ্ট, সবুজ সার হিসেবে ধৈঞ্চার উৎপাদন করি।

৮. বরেন্দ্র অঞ্চলে বাবলা, খয়ের ও কুল গাছ লাগাই এবং এসব গাছে লাক্ষা চাষ করি।

৯. স্বল্পজীবন কাল বিশিষ্ট রোপাআমন ধান কর্তনের পর মাটির রস থাকতেই দ্রুত পাওয়ার টিলার অপারেটেড সীডার, বেড প্লান্টার, ভিএমপি (ভার্সেটাইল মাল্টিক্রপ প্ল্যান্টার) ইত্যাদি আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে গম, ছোলা, সরিষা সহ তেল ফসল আবাদ বৃদ্ধি করি।

১০. কৃষি যান্ত্রিকীকরণের জন্য কম্বাইন্ড হার্ভেস্টর, রিপার, রাইস ট্রান্সপ্লান্টার, উইডার এসব কৃষি যন্ত্র ব্যবহার করি এবং বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার প্রদত্ত ৫০% ভর্তুকি মূল্যে কৃষি যন্ত্র প্রাপ্তির সুযোগ গ্রহণ করি।

১১. সেচ সুবিধা নেই এমন স্থানে বেল, কুল, জাম, সফেদা, সজিনা, তাল, খেজুর ইত্যাদি ফলের বাণিজ্যিক বাগান স্থাপন করি।

১২. মৌ-বাক্স স্থাপনের মাধ্যমে সরিষা, কালোজিরা, পেঁয়াজ, ধনিয়া, লিচু ইত্যাদির ফলন বৃদ্ধির পাশাপাশি মধুতে স্বনির্ভরতা অর্জন করি।

১৩. ড্রাগনফ্রুট, মাল্টা, স্ট্রবেরী, হলুদ ও ছোট তরমুজ ইত্যাদি বিদেশী ফল উৎপাদন করি এবং লাভবান হই।

১৪. চরাঞ্চলে চিনা, তিষি, ডাল, তেল, কুমড়া জাতীয় ফসল, মিষ্টি আলু, চিনাবাদামের পাশাপাশি ভূট্টা, ধনিয়া, মৌরি, কালোজিরার চাষ করি।

১৫. রাস্তা/ বসতবাড়ির/ আঙ্গিনায়/ পুকুর পাড়ে নারিকেল গাছ বা সজিনা/ বারমাসী সজিনা ও ঔষধি গাছের চাষ বৃদ্ধি করি এবং

১৬. রাস্তা/ জমির আইল/ পুকুর পাড়ের নিচের অংশে খেঁজুরের চারা রোপণ নিজে করি এবং অন্যকে করতে উৎসাহিত করি।

১৭. মান সম্মত বীজের ব্যবহার, শোধন পূর্বক বীজ এবং সুষম মাত্রায় সার ব্যবহার নিশ্চিত করি।

১৮. ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহারের জন্য পাতকুয়া স্থাপন করে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ও ব্যবহার বৃদ্ধি করে নানা ধরনের সব্জি, মসলা ও ফল আবাদ বৃদ্ধি করি সেই সাথে বরেন্দ্র অঞ্চলে খাড়ি ও মজা পুকুর পুন:খনন করে পানি সংরক্ষণ করে অধিক ফসল উৎপাদন করি।

করোনা সংকট এবং ইঁদুর একক প্রচেষ্টায় দমন বা নিধন করা একেবারেই সম্ভব নয়। করোনা মহামারীর দমনের ন্যায় সকলের সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। ইঁদুর নিধনের জন্য সুনির্দিষ্ট কার্যক্রম প্রস্তুত করে বিরাট এলাকার এলাকাবাসী বা গ্রামবাসীদের যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করলে এর দমন ফলপ্রুসু হবে। যখন আমাদের মাঝে ইঁদুর-এর ক্ষতির ভয়াবহতার বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি হবে তখনই এই ক্ষুদ্র প্রানীটির বিশাল ক্ষতির হাত থেকে আমরা রেহাই পেতে সক্ষম হব। পরিশেষে একটি পরিচিত শ্লোগানের মাধ্যমে শেষ করতে চাই, তাহলো- ‘সবাই সম্মিলিতভাবে ইঁদুর মারি, দেশের মূল্যবান সম্পদ রক্ষা করি‘।

লেখক: আঞ্চলিক কৃষি তথ্য অফিসার, কৃষি তথ্য সার্ভিস, রাজশাহী।

This post has already been read 3628 times!

Check Also

ডিম ও মুরগির বাজার স্থিতিশীলতায় দরকার  “জাতীয় পোল্ট্রি বোর্ড” গঠন

কৃষিবিদ অঞ্জন মজুমদার : পোল্ট্রি শিল্পের সাথে আন্ত:মন্ত্রনালয়, আন্ত:অধিদপ্তর  এবং উৎপাদন ও বিপননে ডজনের উপরে …