মো. আসাদুল্লাহ (পাবনা) : সারা দেশের ন্যায় এবারও পাবনা জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে ইঁদুর নিধন অভিযান- ২০২২ উপলক্ষে রবিবার (১৬ অক্টোবর) জেলা প্রশাসক পাবনার সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পাবনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের, উপপরিচালক, কৃষিবিদ ড. মো. সাইফুল আলম এর সভাপতিত্বে অলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাবনার জেলা প্রশাসক মো. বিশ্বাস রাসেল হোসেন।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি বলেন, ইঁদুর প্রাণীটি অতি ক্ষুদ্র হলে কি হবে, এদের ঘ্রাণ, আস্বাদন ও শ্রবণ শক্তি অতি প্রবল। ইঁদুর মাঠের ফসল ছাড়াও গুদামজাত শস্য ঘরের মূল্যবান কাগজপত্র ও আসবাবপত্র, কারে›টের তার, বেড়িবাঁধসহ প্রয়োজনীয় টুকিটাকি জিনিসপত্র নষ্ট করে থাকে। কাজেই এদের দ্রুত ধ্বংস করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বিশ্বে ২৫টি দেশে মারাত্মকভাবে খাদ্য ঘাটতি দেখা দেওয়ার সম্ভবনা রয়েছে; তার মধ্যে বাংলাদেশের নাম তালিকায় আছে। কাজেই ইঁদুর নিধনের পাশাপাশি খাদ্য ঘাটতি মোকাবেলায় সরকারের দেওয়া পদক্ষেপগুলো যেমন কৃষি ঋণ, কৃষি পূণবাসন, ১ ইঞ্চি জমি খালি রাখা যাবে না এগুলোর দিকে বেশি গুরুত্ব দিতে কৃষি বিভাগসহ উপস্থিত সকলকে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের অনুরোধ জানান।
উক্ত সভায় সভাপতি মহোদয় বলেন, ইঁদুর বছরে ৭ লক্ষ্য মেট্রিক টন খাদ্যশস্য নষ্ট করে থাকে। এদের প্রজনন ক্ষমতা খুবই প্রখর। এরা অল্প বয়সে যে কোন পরিবেশে বাচ্চা দিতে পারে। ১ জোড়া প্রাপ্তবয়স্ক ইদুর বছরে প্রায় ৩ হাজার ইঁদুরের জন্ম দিতে পারে। ১৭০০টি ইঁদুরজাতীয় প্রজাতির মধ্যে বাংলাদেশে ২২টির অধিক ক্ষতিকারক প্রজাতি শনাক্ত করা হয়েছে। ফসল ও সম্পদের ক্ষতি রোধ, জনস্বাস্থ্য রক্ষা ও পরিবেশের স্বার্থে ইঁদুর সমস্যাকে জাতীয় সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে ক্ষেত-খামার, বসতবাড়িসহ সর্বত্র ইঁদুরমুক্ত করার লক্ষ্যে ইঁদুর দমন অভিযান সফল করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নিতে উপস্থিত সুধীজনদের অনুরোধ জানান।
উক্ত ইঁদুর নিধন অভিযানে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা, কৃষিবিদ মোঃ সাইফুল ইসলাম। অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) কৃষিবিদ মো. রোকুজ্জামান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, পাবনা। এছ্ড়াাও কৃষি তথ্য সার্ভিস ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, পাবনার জেলা/উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারিবৃন্দ, সাংবাদিকসহ শতাধিক কৃষক/কৃষানি অংশগ্রহন করেন।
আলোচনার পূর্বে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে এক বর্ণাঢ্য র্যালী শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. হাসান রশিদ হোসাইনী।