মো: আমিনুল ইসলাম (রাজশাহী) : বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উদ্ভাবিত নতুন জাতের স্বল্প জীবনকাল সম্পন্ন বিনা-১৬ ধান আমন মৌসুমে বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে এ জাতের ধান ২১ মন ফলেছে।
বুধবার (০২ নভেম্বর) কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর এর সহযোগিতায় এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ বিনা উপকেন্দ্র আয়োজিত উপজেলার চট্ট্রিগ্রামের কৃষক মো: আফতাব উদ্দিনের জমিতে উৎপাদিত বিনা ধান -১৬ কেটে পরিমাপ করে মাঠ দিবসে অতিথিদ্বয় এ কথা বলেন।
মাঠ দিবসে চাঁপাইনবাবগঞ্জ বিনা উপকেন্দ্রের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা এবং ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. হাসানুজ্জামান এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক (গবেষণা) ড. মো: আ: মালেক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. পলাশ সরকার ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি অফিসার কানিজ তাসনোভাসহ আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন।
এ বছর অত্র কেন্দ্রের তত্ত্বাবধানে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ৫০ বিঘা জমিতে ৫০টি প্রদর্শনী প্লটে এ ধানের আবাদ করা হয়েছে। এছাড়াও এজাতের সম্প্রসারণ বাড়াতে ২৫০ জন কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে ৫ কেজি করে বীজ বিতরণ করা হয়। স্বল্প মেয়াদি সম্পন্ন এ জাতের ধান রোপনের ১০০ দিনের মাথায় কাটা হয়েছে।
অতিথিদ্বয় আরো বলেন, লবণাক্ত এলাকা ছাড়া দেশের সকল রোপা আমন অঞ্চল বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে জাতটির অধিক ফলন পাওয়া যায়। বেলে দো-আঁশ এবং এটেল দো-আঁশ জমি এ জাতটি চাষের উপযোগী। এ ধানের আবাদের পর সরিষা বা মসুরের আবাদ সহজে করা যায়। এ জাতগুলোর রোগ বালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হয়। তবে প্রয়োজনে বালাইনাশক প্রয়োগ করা উচিত। এ জাতটি মাজরা পোকার প্রতি মধ্যম প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন তাই কীটনাশক খরচ ও কম। ধান হেলে বা ঝরে পড়ে না। অধিক ফলন দেয়। এ ধানের চাল চিকন ও ভাত খেতে সুস্বাদু। এ ধান চাষ লাভজনক এবং শস্য বিন্যাসে কৃষককে সহায়তা করবে বলে উপস্থিত কৃষকদের বিনাধান-১৬ চাষ করার পরামর্শ দেন।
অনুষ্ঠানে কৃষি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সাংবাদিক, আদর্শ কৃষকসহ প্রায় ৭০ জন উপস্থিত ছিলেন।