নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): বরিশালে বিনা উদ্ভাবিত উচ্চফলনশীল ধানের চাষ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বিনাধান-১৭ বিষয়ক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (৬ নভেম্বর) উপজেলার পূর্ব রহমতপুরে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) উদ্যোগে এই মাঠ দিবসের আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আয়োজক প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম।
বিনার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. ছয়েমা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি (ভার্চুয়ালি) ছিলেন বিনার মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মনজুরুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার মোসাম্মৎ মরিয়ম এবং উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মামুনুর রহমান। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিনার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. সোহেল রানা, এসও নাজমুন নাহার পপি, কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিক, উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা নুরুন্নাহার, প্রদর্শনী চাষি কাজী নজরুল ইসলাম রিয়াজ, বাবুল হাওলাদার প্রমুখ।
প্রধান অতিথি কৃষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, বরিশালের জোয়ার-ভাটার এলাকার অধিকাংশ কৃষক আমনের স্থানীয় ধানের জাত চাষ করেন। এগুলোর জীবনকাল অনেক বেশি। তাই শস্যবিন্যাস অনুসরণ করাটাই অনেক সময় দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়ায়। এসব স্থানে দরকার স্বল্প মেয়াদী জাত ব্যবহার। আর বিনাধান -১৭ এমনই একটি জাত। এর জীবনকাল মাত্র ১১৫ দিন। বিঘা প্রতি ফলন ২৮ থেকে ৩০ মন। রোগবালাইয়ের ক্ষেত্রে যথেষ্ট প্রতিরোধি। এছাড়া ইউরিয়া সার শতকরা ৩০ ভাগ কম লাগে। জাতটি খরাসহিষ্ণু। ধান কাটার পর সরিষা চাষ করা যায়। এসব সুবিধার জন্য দক্ষিণাঞ্চলে এ জাতটি বেশ উপযোগী। তাই এর আবাদ সম্প্রসারণ করা জরুরি।
অনুষ্ঠানের আগে ধানের নমুনাশস্য কর্তন করা হয়। এর গড়ফলন হয়েছে প্রায় ৫.৫ টন। মাঠদিবসে অর্ধশতাধিক কৃষক অংশগ্রহণ করেন