বৃহস্পতিবার , ডিসেম্বর ১৯ ২০২৪

বারি’তে সমন্বিত বালাই দমন ব্যবস্থা বিষয়ে প্রশিক্ষণ উদ্বোধন

গাজীপুর সংবাদদাতা: বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এর কীটতত্ত্ব বিভাগ, প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ উইং এবং ফিট দ্যা ফিউচার বাংলাদেশ আপিএমএ এর যৌথ আয়োজনে  ”সমন্বিত বালাই দমন ব্যবস্থা (আইপিএম) এর একটি উপাদান হিসেবে বিভিন্ন পরজীবীর পালন এবং তাদের প্রায়োগিক দিক” বিষয়ক দুই সপ্তাহ ব্যাপী প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠান রবিবার (১৩ নভেম্বর) বারি’র সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইউএসএআইডি মিশন, বাংলাদেশ এর অর্থায়নে আয়োজিত ১৩-২৩ নভেম্বর ২০২২ পর্যন্ত অনুষ্ঠিতব্য এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচীতে বারি, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাব টেকনিশিয়ানগণ অংশগ্রহণ করছেন।

সকালে বারি’র মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন। বারি’র পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ) ড. ফেরদৌসী ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ) ড. মো. কামরুল হাসান, পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. তারিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে গেস্ট অফ অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইপিএমএ, ভার্জিনিয়া টেক ইউনিভার্সিটির কান্ট্রি প্রোগ্রাম ম্যানেজার জনাব মাধব চন্দ্র দাশ। বারি’র কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আখতারুজ্জামান সরকার এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কীটতত্ত্ব বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রধান ড. নির্মল কুমার দত্ত।

প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ দানাদার খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করলেও এখনও এর কৃষিতে বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ রয়েছে। বিশেষ করে ক্রমহ্রাসমান জমিতে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাহিদা মেটাতে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন করা একটা বিরাট চ্যালেঞ্জ। বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রথম বিভিন্ন সমন্বিত বালাই দমন প্রযুক্তির নিবন্ধন দেয়া শুরু করে। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ৭০টি জৈব বালাইনাশক  নিবন্ধিত হয়েছে এবং এসব জৈব বালাইনাশকের অধিকাংশই কৃষকের মাঠে সফলতার সাথে ব্যবহৃত হচ্ছে। জৈব বালাইনাশকভিত্তিক প্রযুক্তিসমূহ ব্যবহারের ফলে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে আজতক দেশে রাসায়নিক কীটনাশকের ব্যবহার প্রায় ১৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। দুই সপ্তাহ ব্যাপী এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রশিক্ষণার্থীরা বারি’র বিভিন্ন আইপিএম প্রযুক্তি সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করে নিজেদের দেশের কৃষিতে তা প্রয়োগের মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন বলে বক্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

This post has already been read 2155 times!

Check Also

আমন ধানে ব্রাউন প্ল্যান্ট হপার আক্রমণ: ফলনের ক্ষতি ও করণীয়

ড. মো. মাহফুজ আলম: বাংলাদেশে ধান প্রধান ফসল হিসেবে পরিচিত এবং এর উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির …