নিজস্ব প্রতিবেদক : বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, এমপি বলেছেন, সিঙ্গাপুর বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার। বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য একটি বাণিজ্য সম্ভাবনাময় এলাকা। পণ্য, সেবা ও বিনিয়োগ খাতেও সিঙ্গাপুরের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়ন করা প্রয়োজন। বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে উভয় দেশের মধ্যে ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট (এফটিএ) স্বাক্ষরের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আশা করা যায় শীঘ্রই নেগোসিয়েশন শুরু করা সম্ভব হবে। উভয় দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত মেমোরেনডাম অফ কো-অপারেশন (এমওসি) বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, উভয় দেশের মধ্যে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ কাজ করছে। বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
বুধবার (১৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঢাকায় সফররত সিঙ্গাপুরের ট্রান্সপোর্ট, ট্রেড রিলেশনস এবং শিল্পমন্ত্রী এস ইসওয়ারান (ঝ ওংধিৎধহ) এবং বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি,এমপি উভয় দেশের মধ্যে মিটিং শেষে বাণিজ্য সম্প্রসারণ, সেবা ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে মেমোরেনডাম অফ কো-অপারেশন (এমওসি) স্বাক্ষরের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিং এর সময় এসব কথা বলেন।
সিঙ্গাপুরের ট্রেড মিনিষ্টা বলেন, উভয় দেশের বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং অর্থনৈতিকত সহযোগিতা বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। সিঙ্গাপুর বাংলাদেশের সাথে কাজ করতে আগ্রহী। বাংলাদেশের কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর গড়ে উঠছে। বাণিজ্য ও পর্যটন বৃদ্ধির জন্য এ বিমানবন্দর খুবই সহায়ক হবে। আইসিটি খাতে সিঙ্গাপুর বাংলাদেশের সাথে কাজ করবে। বাংলাদেশের পর্যটনসহ বিভিন্ন বিষয়ে আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে প্রচারনা বৃদ্ধি করতে পারে। বাংলাদেশের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশের দক্ষ জনবল সিঙ্গাপুর যাচ্ছে, সেখানে সুনামের সাথে কাজ করছে। রেমিটেন্স আসতেছে। হালাল সার্টিফিকেশন নিয়ে বাংলাদেশ কাজ করছে। এতে করে সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে।
উল্লেখ্য, স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে পরিনত হবার পর সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাণিজ্যিক ভাবে সম্ভাবনাময় বিভিন্ন দেশের সাথে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি, পণ্য রপ্তানিতে শুল্ক, কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা পাওয়া সহজ হবে।
এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, ঢাকায় নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের হাই-কমিশনারসহ সিঙ্গপুরের ট্রেড মিনিস্টারের নেতৃত্বে আগত প্রতিনিধি দলের সদস্যগণ এবং বাণিজ্য মন্ত্রণারয়ের সিনিয়র কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।