গাজীপুর সংবাদদাতা : বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি)-এর মসলা গবেষণা উপ-কেন্দ্র, ফরিদপুরের আয়োজনে মসলা জাতীয় ফসল চাষাবাদে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের গুরুত্ব শীর্ষক কৃষক প্রশিক্ষণ ও কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বারি উদ্ভাবিত পেঁয়াজ বীজবপন যন্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠান ১৬ নভেম্বর ২০২২ বুধবার মসলা গবেষণা উপ-কেন্দ্র, ফরিদপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘বাংলাদেশে মসলা জাতীয় ফসলের গবেষণা জোরদারকরণ’ প্রকল্পের অর্থায়নে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ১৫টি কৃষক দলের (২৫ জন কৃষক নিয়ে একটি দল) মাঝে ১৫টি বারি উদ্ভাবিত পেঁয়াজ বীজবপন যন্ত্র বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে বারি’র মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কৃষকদের মাঝে এসব পেঁয়াজ বীজবপন যন্ত্র বিতরণ করেন। মসলা গবেষণা উপ-কেন্দ্র, ফরিদপুরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আলাউদ্দিন খান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বারি’র পরিচালক (ডাল গবেষণা কেন্দ্র) ড. মো. মহি উদ্দিন, বারি’র সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, গাজীপুরের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মাজহারুল আনোয়ার এবং আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, রহমতপুর বরিশাল এর মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. বিমল চন্দ্র কুন্ডু। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মসলা গবেষণা উপ-কেন্দ্র, ফরিদপুর এর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. মুশফিকুর রহমান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বারি’র মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার বলেন, আমাদের দেশে বৃহত্তর ফরিদপুর ও পাবনা অঞ্চল মসলা ফসল বিশেষ করে পেঁয়াজ চাষের জন্য প্রসিদ্ধ। তাই আমরা চাই এ অঞ্চলে পেঁয়াজের চাষ আরও সম্প্রসারিত হোক। সেজন্য বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মাগুরা জেলার পেঁয়াজ চাষীদের জন্য আজকের এই বিনামূল্যে পেঁয়াজ বীজবপন যন্ত্র বিতরণ কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বারি উদ্ভাবিত এ যন্ত্র ব্যবহারের ফলে প্রতি হেক্টরে প্রায় ১০০ জন শ্রমিক কম লাগে। একই সাথে ২০-২৫ দিন আগে পেঁয়াজ বীজ বপন করা যায়। এতে করে কৃষকের যেমন উৎপাদন খরচ কম লাগে তেমনি তারা অধিক লাভবান হচ্ছে। যারা পেঁয়াজ বীজ তাদের জন্য আগামীতে এ কর্মসূচী অব্যহত থাকবে বলেও জানান তিনি।