নিজস্ব প্রতিবেদক: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি,এমপি বলেছেন, ভারত বাংলাদেশর ঘনিষ্ট বন্ধু রাষ্ট্র এবং উন্নয়ন, বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক অংশীদার। ভারতের আসামসহ বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোর সাথে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির অনেক সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের তৈরী অনেক পণ্যের বিপুল চাহিদা রয়েছে সেভেন সিস্টারখ্যাত এ অঞ্চলগুলোতে। বাংলাদেশ এ অঞ্চলগুলোর সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরী পোশাক। আমাদের রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮৩ ভাগ আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। এ শিল্পে প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিক কাজ করে, এর মধ্যে ৩০ লাখই নারী কর্মী। এ তৈরী পোশাকের অনেক কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি ভারত থেকে বাংলাদেশে আসে। আসাম বাংলাদেশের দক্ষ প্রশিক্ষক নিয়ে তৈরী পোশাক খাতের কর্মীদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারে। বাংলাদেশের তৈরী পোশাক, সিরামিক, জামদানিসহ বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী পণ্য ভারতে জনপ্রিয়। বাংলাদেশের প্রাণ কোম্পানীর পণ্য ভারতের আসামসহ বিভিন্ন অঞ্চলে বেশ জনপ্রিয়। বাংলাদেশ আশা করছে, ভারতের আসামসহ সেভেন সিস্টারখ্যাত সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোতে পণ্য রপ্তানি আরও বৃদ্ধি পাবে। এ জন্য উভয় দেশের আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন। আসাম এর সাথে বাংলাদেশের মানুষের জীবনযাত্রা এবং স্ংস্কৃতিরে অনেক মিল রয়েছে। উভয় দেশের সরকারের আন্তরিক সহযোগিতায় বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি করা সম্ভব।
বাণিজ্যমন্ত্রী আজ (২০ নভেম্বর) ঢাকায় তাঁর মিন্টু রোডস্থ সরকারী বাসভবনের অফিস কক্ষে ঢাকায় সফররত ভারতের আসাম রাজ্যের বিধান সভার স্পিকার বিশ্বজিৎ দৈমারি এর নেতৃত্বে আগত প্রতিনিধি দলের সাথে মতবিনিময়ের সময় এসব কথা বলেন।
সফররত ভারতের আসাম রাজ্যের বিধান সভার স্পিকার বিশ্বজিৎ দৈমারি বলেন, বাংলাদেশের অনেক উন্নয়ন হয়েছে, বড় বড় প্রকল্পের উন্নয়ন কাজ চলছে। বাংলাদেশের সাথে আসামের বাণিজ্য ও অর্থনৈকিত সম্পর্ক আরো বৃদ্ধির অনেক সুযোগ রয়েছে। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে উভয়দেশ উপকৃত হতে পারে। মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারত যেভাবে বাংলাদেশের পাশে ছিল, আগামীতে সেভাবে থাকবে। বাংলাদেশকে সকল ক্ষেত্রে ভারত সরকার খুবই গুরুত্ব দিয়ে থাকে। আসামের সাথে বাংলাদেশের স্থলবন্দর রয়েছে, এগুলো দিয়ে আমদানি-রপ্তানি আরো বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। পানি পথেও আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে। ভারত বাংলাদেশের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য আরো বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। তৈরি পোশাক কারখানা ও দক্ষ জনবল তৈরীতে আসাম রাজ্য বাংলাদেশের সহযোগিতা আশা করছে। আগামীতে আসামের সাথে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও বাড়বে।
উল্লেখ্য, ভারতের আসাম রাজ্যের বিধান সভার স্পিকার বিশ্বজিৎ দৈমারি এর নেতৃত্বে আসাম রাজ্য সরকারের বিধান সভার ৩৩ জন বিধায়কসহ ৬২ জন সদস্যর প্রতিনিধি দল ৫দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বাংলাদেশ এসেছেন।