নিজস্ব প্রতিবেদক: ডিম বিক্রি করে বিগত ৩ বছরে খামারিরা কোন লাভ করতে পারেনি। যে ডিমের উৎপাদন খরচ ছিল ৬ টাকা, সেই ডিম এক সময় বিক্রি হয়েছে ৩ টাকায়। এর অন্যতম কারণ, পোলট্রি, মৎস্য ও অন্যান্য পশুখাদ্যের কাঁচামাল আমদানি নির্ভর। আশার কথা হচ্ছে, দেশে ভুট্টার উৎপাদন বাড়ছে। চলতি বছর দেশে ৫৬ লাখ টন ভুট্টার উৎপাদন হয়েছে।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকায় খামারবাড়িতে বিএআরসি মিলনায়তনে নিরাপদ ও পুষ্টিসম্মত খাদ্য নিশ্চিতকরণ বিষয়ে আলোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক । বিসেফ ফাউন্ডেশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি ও কৃষির সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগানোর জন্য সুষ্ঠু কৃষিঋণ ব্যবস্থাপনা খুবই জরুরি। অনেক তরুণ উদোক্তা বাণিজ্যিক কৃষিতে এগিয়ে আসতেছে, তাদের জন্য ঋণ দরকার। অনেক সময় কৃষকেরা এনজিও বা অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত থেকে চড়া সুদে ঋণ গ্রহণ করে। সেজন্য, কৃষকদেরকে সহজ শর্তে, কম সুদে, জামানাত ছাড়া বিনা হয়রানিতে ঋণ দিতে হবে। এ বিষয়টিকে কার্যকর করতে ব্যাংকগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, কৃষি যান্ত্রিকীকরণে বর্তমান সরকার ৫০%-৭০% ভর্তুকি দিচ্ছে। তারপরেও একটা কম্বাইন হারভেস্টার কিনতে কৃষককে স্থানভেদে ১০- ১৪ লাখ টাকা দিতে হয়। ভর্তুকি দেয়ার পরও অনেক কৃষক এত টাকা দিয়ে হারভেস্টার কিনতে পারে না। এখানে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে, কৃষককে ঋণ দিতে হবে।
ব্যাংক ও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদেরকে একসাথে বসে, সমন্বয় করে মাঠ পর্যায়ে কৃষিঋণ বিতরণের সমস্যা সমাধানের জন্য নির্দেশ দেন এসময় মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, সকলের জন্য পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। ইতিমধ্যে পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবারের উৎপাদন ও প্রাপ্যতা অনেক বেড়েছে। তবে অনেক মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কম, তারা সীমিত আয় দিয়ে এখনো পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার কিনতে পারে না। এক্ষেত্রে মানুষের আয় বাড়াতে হবে, এগ্রো প্রসেসিংয়ে বিনিয়োগ করতে হবে, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করতে হবে। সেলক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
অনুষ্ঠানে বিসেফ ফাউন্ডেশনের সভাপতি জয়নাল আবেদিন, সাবেক কৃষিসচিব আনোয়ার ফারুক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।