শুক্রবার , নভেম্বর ২২ ২০২৪

আইসিএবিতে ভুটানের শিক্ষার্থীদের বিশ্বমানের শিক্ষা গ্রহণের আহবান

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, এমপি বলেছেন, ভুটান বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র। সার্বভৌম স্বাধীন বাংলাদেশকে ভুটান প্রথম স্বীকৃতি প্রদান করে। বাংলাদেশের মানুষ কৃতজ্ঞতার সাথে তা সবসময় স্বরণ করে। ভুটানকে বাংলাদেশ সবসময় গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর প্রতিযোগিতামূলক ব্যবসা-বাণিজ্যে এগিয়ে যাবার জন্য বিভিন্ন দেশের সাথে এফটিএ বা পিটিএ এর মতো বাণিজ্য চুক্তি করে বাণিজ্য সুবিধা বৃদ্ধির চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। এরই অংশ হিসেবে ভুটানের সাথে প্রথম পিটিএ স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ, যা গত জুলাই থেকে কার্যকর হয়েছে। আশা করি এতে করে উভয় দেশ বাণিজ্যিক ভাবে উপকৃত হবে। এরফলে উভয় দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধির সুযোগ হয়েছে, এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে।  বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভুটানসহ বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীগণ বাংলাদেশে মেডিকেল, প্রকৌশল, বিশ্ববিদ্যায়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা গ্রহণ করে থাকেন। বাংলাদেশের ইনস্টিটিউট অফ চার্টার্ড অ্যাকাউনটেন্ট অফ বাংলাদেশ (আইসিএবি) বিশ্ব মানের ডিগ্রী প্রদান করে আসছে। ভুটানে বাংলাদেশের আইসিএবি উন্নত ও আধুনিক হিসাব শিক্ষা পরিচালনা করতে পারে।

বাণিজ্যমন্ত্রী (০৮ ডিসেম্বর) ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর অফিস কক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত ভুটানের এ্যাম্বাসেডর রিনচেন কুয়েন্টশিল (Rinchen Kuentsyhl) এর সাথে মতবিনিয়ের সময় এসব কথা বলেন।

ঢাকায় নিযুক্ত ভুটানের এ্যাম্বাসেডর বলেন,  ভুটান বাংলাদেশে কমলালেবু রপ্তানি করে থাকে। এখন ফলের মৌসুম। বাংলাদেশের আমদানি কারকগণের এলসি খুলতে সমস্যা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সহযোগিতা করলে ফল আমদানি স্বাভাবিক থাকবে। ভুটান উন্নত মানের মিনারেল ওয়াটার রপ্তানি করে থাকে। বাংলাদেশের বাজারে ভুটান মিনারেল ওয়াটার রপ্তানি করতে আগ্রহী। তিনি আরও বলেন, সোনাহাট স্থল বন্দর ভারত ও ভুটানের মধ্যে আমদানি ও রপ্তানির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ বন্দর দিয়ে ভূটান ও বাংলাদেশের পণ্য আমদানি-রপ্তানি করলে বাণিজ্যসহজ হবে এবং উভয় দেশ উপকৃত হবে।

এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) নূর মো. মাহবুবুল হক, ভূটান এ্যাম্বাসির মিনিস্টার ট্রেড কাউন্সিলর কেনচো থিনলে (Kencho Thinley) এবং থার্ড সেক্রেটারি পেমা সেলডন (Pema Seldon) উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, বিগত ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে বাংলাদেশ ভূটানে ৯.৫৬ মিলিয়ন মর্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে, একই সময়ে ৩৫.৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে।

This post has already been read 2686 times!

Check Also

বরিশালের বিনা উদ্ভাবিত আমনের জাত বিষয়ক কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): বরিশালের বিনা উদ্ভাবিত আমনের জাত পরিচিতি, বীজ উৎপাদন এবং সংরক্ষণ বিষয়ক …