রবিবার , ডিসেম্বর ২২ ২০২৪

সার নিয়ে ব্রিভ্রান্ত না হওয়ার পরামর্শ ঝিকরগাছা কৃষি কর্মকর্তার 

মিঠুন সরকার (যশোর সংবাদদাতা) : বাংলাদেশ আধুনিক কৃষির যুগে প্রবেশ করলেও কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর দৌরাত্ম্যে বার বার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষক, থমকে যাচ্ছে উৎপাদন ব্যবস্থা। বিভিন্ন সময়ে সার, বীজ ও অন্যান্য কৃষি উপকরণের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির চেষ্টা করে অধিক মুনাফা লাভের চেষ্টা করা হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অন্যদিকে উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিতে নাজেহাল অবস্থা হচ্ছে কৃষি বিভাগের।

ঝিকরগাছা উপজেলা  কৃষি অফিসের তথ্য মতে,  চলতি বোরো মৌসুমে বীজতলা হয়েছে ৯৫০ হেক্টর জমিতে এবং উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৯৩৭৫ হেক্টর ।

জানুয়ারী মাসের সার বরাদ্দ আছে যথাক্রমে  ইউরিয়া ১৭৪৪ ,টিএসপি ৩২৯, ডিএপি ১০৬৫ এবিং এমওপি ৫৪৬ মেট্রিক টন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ হোসেন পলাশ বলেন, ‘ওয়ার্ড ভিত্তিক সার সরবরাহ করা হয়েছে। কৃষকের চাহিদার বেশি সার মজুদ করা হয়েছে। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সার্বক্ষনিক সার প্রাপ্তি ও ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে কাজ করছে। আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ডিলারের নথি চেক করছি যেন সারের দাম না বাড়াতে পারে। এর পরেও যদি সারের ব্যাপারে কৃষক প্রতারিত হয় তাহলে আমরা তার ডিলারশীপ বাতিল সহ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। চাহিদার অনেক বেশি পরিমাণ সার মজুদ আছে এবং সার সংকটের কোন সুযোগ নেই।’

একই সাথে তিনি সার নিয়ে বিভিন্ন গুজবে কান না দিতে সকলকে পরামর্শ দিয়েছেন।

উপজেলা নির্বাহী কররমকর্তা ও উপজেলা সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির সভাপতি মাহবুবুল হক বলেন, ‘আমরা সার্বক্ষনিক মনিটরিং এ রাখছি। সার সংকট তৈরি হওয়ার মতো কোন পরিস্থিতি আমরা দেখছি না। যদি কেউ সার সংকটের চেষ্টা করে তাহলে আমরা তাৎক্ষণিক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।”

This post has already been read 3121 times!

Check Also

আমন ধানে ব্রাউন প্ল্যান্ট হপার আক্রমণ: ফলনের ক্ষতি ও করণীয়

ড. মো. মাহফুজ আলম: বাংলাদেশে ধান প্রধান ফসল হিসেবে পরিচিত এবং এর উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির …