রবিবার , ডিসেম্বর ২২ ২০২৪

ব্রয়লার মুরগিকে গরীবের মাংস মনে করে অনেক উচ্চবিত্ত -কৃষিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: ফার্মের মুরগির মাংস সম্পর্কে অধিকাংশ মানুষের নেতিবাচক ধারণা ও খাওয়ার অভ্যাস গড়ে ওঠে নাই বলে মানুষ মনে করে, ফার্মের মুরগির মাংসের স্বাদ কম। অনেক উচ্চবিত্তরা মনে করে, এটা গরীবের মাংস। তথাকথিত অনেক অভিজাতশ্রেণি অহংকার করে বলে, আমরা ফার্মের মুরগি খাই না। অথচ উন্নত বিশ্বের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ সবচেয়ে বেশি আমিষ গ্রহণ করে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উৎপাদিত উন্নত জাতের মুরগির মাংস থেকে।

কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক আজ বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) সকালে সচিবালয়ে তথ্য অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে গবেষণার ফলাফল নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন। এসময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শম রেজাউল করিম, কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার, মৎস্য ও প্রাণিসচিব ড. নাহিদ রশীদ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার, প্রধান তথ্য অফিসার মো: শাহেনুর মিয়া এবং গবেষণা টিমের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, তুলনামূলকভাবে সারা পৃথিবীতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উৎপাদিত উন্নত জাতের মুরগির মাংস আমিষসমৃদ্ধ ও সস্তা। ব্রয়লার মুরগির মাংস বাংলাদেশে সবচেয়ে সস্তা ও সহজলভ্য আমিষের উৎস। কিন্তু আমাদের দেশে মাথাপিছু মুরগির মাংস খাওয়ার পরিমাণ অন্যান্য দেশের তুলনায় খুবই কম।

কৃষিমন্ত্রী আরো বলেন, দেশে ব্রয়লার মুরগি খুবই সম্ভাবনাময় একটি খাত। চাহিদা বৃদ্ধি করতে পারলে দেশে যে পরিমাণ খামার ও অবকাঠামো রয়েছে, তার পুরোপুরি ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদন আরো বহুগুণে বৃদ্ধি করা সম্ভব। সেজন্য, মানুষের কাছে মুরগির মাংস জনপ্রিয় করতে হবে। এটি করতে পারলে একদিকে আমিষের চাহিদা পূরণের মাধ্যমে সুস্থ, সবল ও মেধাবী জাতি গঠন সহজতর হবে। অন্যদিকে, ব্রয়লার মুরগির বাজার দ্রুত বিকশিত হবে, মুরগির মাংস প্রক্রিয়াকরণ শিল্প স্থাপন বৃদ্ধি পাবে, কর্মসংস্থান তৈরি হবে এবং রপ্তানির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জন করা সম্ভব হবে।

This post has already been read 2640 times!

Check Also

সাড়ে ৬ টাকা দরে ভারতীয় ডিম এলো বাংলাদেশে!

এগ্রিনিউজ২৪.কম ডেস্ক: ডিম আমদানির অনুমতির পর চতুর্থ চালানে এবার ভারত থেকে ডিম আমদানি হলো সাড়ে …