মিঠুন সরকার (যশোর সংবাদদাতা) : কৃষি কাজকে অনেকে কটুক্তির চোখে দেখলেও স্নাতক পাশ করেই কৃষিতে সফলতা পেয়েছেন পিন্টু হোসেন (২৫)। নার্সারী ব্যবসা থেকে তিনি এখন প্রতি মাসে আয় করেন ৫ লাখ টাকা। তিনি যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার মিশ্রীদেয়াড়া গ্রামের মো. রফিকুল ইসলাম মানিক এর পুত্র।
যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে ইসলাম শিক্ষায় স্নাতক পাশ করে পিন্টু পুরোপুরি ঝুকে পড়েন নার্সারী ব্যবসায়। পিন্টু জানান, ২০০৬ সালে মাত্র ১০ হাজার টাকা নিয়ে তার বাবা আসেন কাঠের ব্যবসায়। ধীরে ধীরে কাঠের ব্যবসা থেকে বিভিন্ন ফুলের চাষে ঝুঁকতে থাকেন তারা। ভালো মানের চারা না পাওয়ায় কয়েকবার ক্ষতিগ্রস্ত হন তারা। এর পর বিভিন্ন জায়গা থেকে ফুলের চারা উৎপাদন শেখেন। ধীরে ধীরে নিজেদের কাজ মিটিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে ফুলের চারা বিক্রি শুরু করেন। এভাবে কয়েক বছর কেটে যায়। এরপর শখের বসে একটি বিদেশী ফুলের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাড়েন। পরে তা ভাইরাল হয়। সেখান থেকে শুরু হয় তাদের পথ চলার নতুন অধ্যায়।
ধীরে ধীরে পিন্টু ব্যবসাকে অনলাইন নির্ভর করে তোলেন। সেখান থেকেই মিলতে থাকে প্রচুর ক্রেতা। পিন্টু নার্সারী নামে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ৩০ বিঘা জায়গার উপর ১ হাজার প্রজাতির বিভিন্ন দেশী বিদেশী ফুল, ফল ও ওষুধি গাছ রয়েছে। প্রতিদিন ২৫ জন শ্রমিক স্থায়ী চুক্তিতে কাজ করেন তার নার্সারীতে। সব মিলিয়ে তার প্রতি মাসে খরচ হয় ২ লাখ টাকা।
তরুন উদ্যোক্তা পিন্টু হোসেন আরো জানান, চাকরীর পিছনে না ছুটে আত্মনির্ভরশীল হয়েছি। ২৫ জন শ্রমিকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পেরেছি। যদি কেউ উদ্যোক্তা হতে চায় তাহলে আমি সব ধরনের সহযোগীতা করবো।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাসুদ হোসেন পলাশ বলেন, পিন্টু নার্সারীর কথা আমি শুনেছি। তরুনদের কৃষি কাজে সংশ্লিষ্টতা কৃষির সুদিন নিশ্চিত করবে।