Wednesday , April 2 2025

জাপানের খাদ্য নিরাপত্তা কৌশল ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগাবে বাংলাদেশ -খাদ্যমন্ত্রী

জাপান (টোকিও) : খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, নিরাপদ খাদ্য এখন বিশ্বে আলোচিত বিষয়। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে জাপানের অর্জন সর্বত্র প্রশংশিত।সেকারণে জাপানের খাদ্য নিরাপত্তা কৌশল ও অভিজ্ঞতা বাংলাদেশ কাজে লাগাতে চায়।

আজ বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) জাপানের টোকিও ইউনিভার্সিটি অব এগ্রিকালচার এর ফুড সেফটি রিচার্স সেন্টারে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সাধন চন্দ্র মজিমদার বলেন,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত এখন আমাদের মূল ফোকাস। আমরা বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। জাপান বাংলাদেশের ভালো  বন্ধু রাষ্ট্র উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাপান সরকারের সার্বিক সহায়তায় আমাদের কার্যক্রম আরো বেগবান হবে।

মতবিনিময় সভায় টোকিও ইউনিভার্সিটি অব এগ্রিকালচার এর প্রফেসর এবং ফুড সেফটি রিচার্স সেন্টারের পরিচালক সিজোনোবু ইজিমি জাপানের খাদ্য নিরাপত্তা কৌশল ও প্রয়োগ কৌশল তুলে ধরেন।

এ সময় তিনি বলেন , জাপান তার নাগরিকদের জন্য সর্বোত্তম খাবার পরিবেশনের জন্য ১৯৪৭ সালে ফুড স্যানিটেশন এ্যাক্ট প্রণয়ন করে। পিউর ফুড নিরাপদ খাদ্যে নিশ্চয়তার প্রধান চাবিকাঠি। সময়ের সাথে সাথে নতুন নতুন ব্যাকটেরিয়া খাবার দূষণ করছে গবেষণার মাধ্যমে আমরা সেটাকে মোকাবিলা করছি।

খাবার খেয়ে জাপানি নাগরিকরা যেন অসুস্থ না হয় তা নিশ্চিত করতে ফুড প্রডাক্ট স্টান্ডার্ড নির্ধারণ করা হয় এবং তা কঠোরভাবে মনিটরিং করা হয়। নিয়মের ব্যত্যয় হলে বিজনেস পারমিট বাতিল করা হয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এ সময় তিনি অভিজ্ঞতা বিনিময়সহ বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য টোকিও ইউনিভার্সিটি অব এগ্রিকালচারে পিএইচডি করার সুযোগ রাখবেন বলে জানান।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসমাইল হোসেন,অতিরিক্ত সচিব( প্রশাসন) মো: মজিবর রহমান,নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম সরকার,নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য রেজাউল করিম ,মঞ্জুর মোর্শেদ আহমেদ এবং টোকিও ইউনিভার্সিটি অব এগ্রিকালচার এর ভাইস প্রসিডেন্ট শুনসুকি ইয়াজামি,মারিকো উইহারা উপস্থিত ছিলেন।

This post has already been read 3341 times!

Check Also

অপুষ্টি শব্দটি অভিধান থেকে মুছে ফেলতে হবে – মসিউর রহমান

বিশেষ সংবাদদাতা: ওয়াপসা-বিবি’র সভাপতি মসিউর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশকে আমরা একটি পুষ্টি সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে দেখতে …