নিজস্ব প্রতিবেদক: কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার বলেছেন, আমাদের দেশের ঐতিহ্যের সাথে মসলা জড়িত। আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে দানাজাতীয় ও শাকসবজি ফলমূল জাতীয় ফসলের পাশাপাশি মসলা জাতীয় ফসলের উৎপাদন বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, মসলা জাতীয় ফসল চাষে লাভবান হলেই কৃষকেরা ধান জাতীয় ফসলের রিপ্লেসমেন্ট হিসেবে এটি চাষ করবে। আমাদের দেশের গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমুহ থেকে মসলার উন্নত মানের আমাদের দেশের আবহাওয়া উপযোগী জাত আবিস্কৃত হয়েছে। এগুলো সম্প্রসারণের মাধ্যমে উৎপাদন করে আমাদের দেশের নিজস্ব চাহিদা পুরনে সচেষ্ট হতে হবে।
আজ বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আ কা মু গিয়াস উদ্দীন মিলকী অডিটরিয়ামে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ‘মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্প’ আয়োজিত ‘অবহিতকরণ কর্মশালা-২০২৩’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সচিব একথা বলেন। কৃষি সচিব বলেন, প্রকল্প পরিচালকদের নিষ্ঠা ও সততার সাথে কাজ করতে হবে। কৃষি মন্ত্রণালয় কোন ধরনের অনৈতিকতাকে প্রশ্রয় দেয় না। দেশ ও জাতির সার্বিক কল্যাণে সকলকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ পূর্বক আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যেতে হবে।
কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য ও প্রকল্পের কার্যক্রম উপস্থাপনা করেন প্রকল্প পরিচালক রাসেল আহমেদ। মসলা জাতীয় ফসলের ‘উন্নত জাত, প্রযুক্তি ও সম্ভাবনা’ বিষয়ের ওপর প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বগুড়ার মসলা গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শৈলেন্দ্র নাথ মজুমদার।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, দেশে মসলার বাজার প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। দেশে বছরে ১৫ হাজার টন জিরার চাহিদা রয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রকল্পভুক্ত এলাকার মসলা উৎপাদন ৫% বৃদ্ধি পাবে এবং মসলা আমদানির হার হ্রাস পাবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটসহ কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।