মিঠুন সরকার (যশোর সংবাদদাতা) : কৃষি প্রযুক্তির উন্নয়নে বদলে যেতে শুরু করেছে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার কৃষি চিত্র। ১ ফসলী জমি রুপ নিয়েছে ৩ ফসলী বা ৪ ফসলী জমিতে। সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এবার আউশ অথবা রোপা আমন ধান চাষের পর স্বল্প জীবনকালের সরিষা চাষের পর আবার বোরো ধানের চাষ করেছেন অনেকে। যেখান থেকে কৃষক পাচ্ছেন সর্বোচ্চ মুনাফা।
খাদ্য সংকটের নানান গুঞ্জন পাশ কাটিয়ে বেড়ে চলেছে বোরো ধান উৎপাদন। বৈরি আবহাওয়া, কৃষি পণ্যের লাগামহীন দাম বৃদ্ধিও থামাতে পারেনি বোরো উৎপাদন । উপজেলা জুড়ে বোরো উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে ২০২২-২৩ অর্থবছরে।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৯,৩৭৫ হেক্টর। যার মধ্য হাইব্রিড ২,০০০ হেক্টর এবং উফশী ১৭,৩৭৫ হেক্টর ।
বিগত ২০২১-২২ অর্থবছরে উপজেলায় মোট ১৮,৮৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের উৎপাদন হয়েছিলো।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাসুদ হোসেন পলাশ বলেন, ‘বিনামূল্যে বীজ, সার ও কৃষক প্রশিক্ষণ, জলবায়ুর ওপর প্রশিক্ষণ, ধানের বাজার মূল্য বৃদ্ধি, ন্যায্য মূল্য সার প্রাপ্তি নিশ্চিত করা, আধুনিক প্রযুক্তির প্রসার ও কৃষি বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবার বোরো উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে।‘ আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ধানের বাম্পার ফলন হবে বলেও তিনি আশাবাদী।