এগ্রিনিউজ২৪.কম ডেস্ক: ‘ফ্যামিলি ডে’ কথাটি যখন কারো কানে আসবে তখন পরিবার-পরিবার এক ধরনের অনুভূতি কাজ করবে যে কারোর কাছেই। সাধারণত পরিবার দিবস বলতে আমরা নিজেদের পরিবারের ভাই-বোন-আত্মীয় স্বজনকে এবং বৃহৎ অর্থে রক্তের সম্পর্ককেই বুঝি। কিন্তু কর্মক্ষেত্রও যে একটি পরিবার হতে পারে, সবাই মিলে এক সাথে আনন্দ উৎসব করা যেতে পারে সেটির প্রমাণ মেলে প্যারাগন গ্রুপ আয়োজিত ‘ফ্যামিলি ডে’ প্রোগ্রামে।
করোনা মহামারিতে দু’বছর বিরতি দিয়ে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) আয়োজন করা হয় “ফ্যামিলি ডে অ্যান্ড-২০২৩” । বনভোজন কিংবা পিকনিক নাম না দিয়ে কর্তৃপক্ষের ফ্যামিলি ডে নামকরণটির উদ্দেশ্য হলো প্যারাগন গ্রুপের প্রতিটি কর্মকর্তা-কর্মচারির পরিবার যাতে সম্মিলিতক একটি পরিবার হয়ে আনন্দ উদ্যাপন করতে পারেন। এজন্যই শুধু গ্রুপের কর্মীরাই নয়, বরং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের নিয়েও বছরের একটি দিন যেন মিলেমিশে আনন্দ উপভোগ করা যায় সেটিই ছিল মূল লক্ষ্য।
বরাবরের মতো প্যারাগন গ্রুপ বিষয়টিকে বনভোজনের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে এ বছর সেটিকে আরো বিস্তৃত করেছে। এ বছর স্বীকৃতি দেওয়া হয় ২৫ জন কর্মকর্তা কর্মচারীকে যারা সাফল্যের সাথে কর্মজীবনে দীর্ঘ ২৫ বছর প্যারাগন গ্রুপে কান্ডারীর ভূমিকা পালন করেছেন সেই সকল নিবেদিত প্রাণদের সন্মাণনা স্বরূপ স্বর্ণপদক, ক্রেস্ট প্রদান ও তাদের কর্ম শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। প্যারাগান গ্রুপের কর্ণধার মসিউর রহমান প্রত্যেকের গলায় গোল্ড মেডেল পড়িয়ে দেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্যারাগন গ্রুপের পরিচালক ইয়াসমিন রহমান, পরিচালক মেহরান রহমান, চীফ কো-অর্ডিনেটর মঞ্জুর এলাহী ছাড়াও কোম্পানির সকল স্তরের কমকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ।
অনুষ্ঠান আয়োজনের ব্যাপারে প্যারাগন গ্রুপের কর্ণধার মসিউর রহমান কর্মীদের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, এ রকম আয়োজন আমরা প্রতিবছর করতে চাই। প্যারাগন গ্রুপের আজকের এ অবস্থান প্রতিটি কর্মীর অক্লান্ত পরিশ্রম, মেধা এবং আন্তরিকতার জন্যই সম্ভব হয়েছে। আমরা বিষয়টি তাই ধরে রাখতে চাই।
মসিউর রহমান বলেন, যারা কোম্পানিতে গত ২৫ বছর শ্রম মেধা দিয়ে কাজ করে আসছে, তাদেরকে আর্থিকভাবে যতটুকু মূল্যায়ন করা হয়েছে, তার থেকে কোম্পানী বেশী মুল্যায়ন করেছে বা করবে প্রাতিষ্ঠানিক এবং সামাজিকভাবে । ‘প্যারাগন গ্রুপের প্রতিটি ব্যাক্তিই তার কাছে সমান গুরুত্ব পাবেন’-যোগ করেন তিনি।
রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে সকালে যাত্রা শুরু হয় চাঁদপুরের মোহনপুর পর্যটন কেন্দ্রে। প্রতিবারের মতো এবারও ফ্যামিলি ডে অনুষ্ঠানটি সাজানো হয় খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান -এ দুটি পর্বে। সকালেই সারা হলো নাস্তার পর্ব। তারপর শুরু হয় রমনীদের পিলোপাসিং গেইম।
চাঁদপুরের পর্যটন কেন্দ্রে আয়োজন করা হয় দড়ি খেলা, বাচ্চাদের দৌড় প্রতিযোগিতা এবং মেয়েদের হাঁড়িভাঙ্গা খেলার। খেলার আয়োজন শেষে লঞ্চেই সারা হয় মধ্যাহ্নভোজ। এরপর আবার শুরু হয় র্যাফেল ড্র এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। মসিউর রহমানের প্রাণবন্ত উপস্থাপনায় লটারী ও পুরস্কার বিতরণী এক নতুন মাত্রা যোগ করে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সুরের মূর্ছণায় সকলের প্রাণ ভরিয়ে দিয়েছেন প্রখ্যাত কন্ঠশিল্পী রুপকথা ও সম্রাট।
অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে প্যারাগন গ্রুপের মহা ব্যবস্হাপক হাসান মাহমুদ বলেন আমরা মনে করি প্রতিটি মানুষের বিনোদন প্রয়োজন। শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ সমৃদ্ধ জাতি গড়তে বিনোদনের বিকল্প নেই। এ লক্ষ্যেই প্যারাগন গ্রুপ তাদের প্রতিটি ফ্যামিলির ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বিনোদনের কথা ভেবে প্রতি বৎসর এ ধরনের প্রোগামের আয়োজন করে। তবে করোনার জন্য বিগত বৎসরগুলি ২/১ টি প্রোগাম করা সম্ভব হয়নি । তবে সব স্বাভাবিক থাকলে আমাদের এ ধরনের প্রোগাম চলমান থাকবে ইনশাল্লাহ ।
উল্লেখ্য, সবার স্বত্স্ফূর্ত অংশগ্রহণে ইলিশের বাড়ি খ্যাত চাঁদপুরের মোহনপুর পর্যটন কেন্দ্র একটি মিলন মেলায় পরিনত হয়।