নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): বরিশালে লেবুজাতীয় ফসল বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১১ মার্চ) নগরীর মৎস্য বীজবর্ধন খামারের হলরুমে ডিএইর উদ্যোগে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়–য়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের এপিএ পুলের সদস্য মো. হামিদুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) ক্রপস উইংয়ের পরিচালক স্বপন কুমার খাঁ এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. আবু জুবাইর হোসেন বাবলু। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিএইর অতিরিক্ত পরিচালক মো. শওকত ওসমান।
বরিশাল সদরের উপজেলা কৃষি অফিসার মার্জিন আরা মুক্তার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. বিমল চন্দ্র কুন্ডু, ডিএই পিরোজপুরের উপপরিচালক ড. মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম সিকদার, ঝালকাঠির উপপরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম, লেবুজাতীয় ফসলের সম্প্রসারণ, ব্যবস্থাপনা ও উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের পরিচালক ড. ফারুক আহমদ, ডিএই পটুয়াখালীর উপপরিচালক মো. নজরুল ইসলাম, বরিশালের অতিরিক্ত উপপরিচালক মো. রেজাউল হাসান, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের ঊধর্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ছয়েমা খাতুন, নেছারাবাদের উপজেলা কৃষি অফিসার চপল কৃষ্ণ নাথ, মঠবাড়িয়ার উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মনিরুজ্জামান, ঝালকাঠি সদরের উপজেলা কৃষি অফিসার আলী আহমেদ, বানারীপাড়ার উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মাহফুজুর রহমান, উজিরপুরের কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার প্রশান্ত হাওলাদার প্রমুখ।
প্রধান অতিথি বলেন, লেবুজাতীয় ফসল বিষয়ক প্রকল্প আমাদের বিশেষ চাহিদা পূরণ করবে। এর কাজ বাস্তবায়নে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে উদ্যোগী কৃষক, সম্প্রসারণ, গবেষণা এবং সুষ্ঠু বিপণন ব্যবস্থপনার মাধ্যমে তা সমাধান সম্ভব। বারি মাল্টার জাত সম্পর্কে তিনি বলেন, সুন্দর কে না পছন্দ করে! তাই প্রতিযোগিতাপূর্ণ বাজারে টিকে থাকার জন্য বারি মাল্টা-১’এর গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানো দরকার। সে সাথে সময়মত ফল সংগ্রহের দিকটিও সমান গুরুত্ব দিতে হবে। এ জায়গাগুলোতে আমাদের কাজ করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা অবশ্যই সফল হব। কর্মশালায় কৃষি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এবং কৃষক মিলে শতাধিক অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন।