নিজস্ব প্রতিবেদক: দুটো কারণে আমাদের ছাত্রছাত্রীদের প্রাণিজ খাত সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পড়াশোনা করা উচিত। একটি হলো-তারা নিজেরা আত্মনির্ভরশীল হতে পারবে; এবং দ্বিতীয়টি হলো-পরিবার ও সমাজকে সাপোর্ট দেয়ার জন্য। যেহেতু সমাজের বৃহৎ একটি অংশ পেশাগতভাবে পোলট্রি ও ডেইরি-ক্যাটল সেক্টরের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে যাছে, উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে, নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে; আমাদের ছাত্রছাত্রীরা একটি সময় সেখানে যুক্ত হয়ে যেমন নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে, তেমনই দেশের প্রাণিজ খাতে আরো বেশি টেকসই ও সমৃদ্ধ করতে হবে। এ কারণে প্রত্যেককে ভালোভাবে পড়াশোনা করতে হবে, সামাজিক কাজের সাথে সম্পৃক্ত হতে হবে, লীডারশিপ অর্জন করতে হবে, ম্যানেজমেন্ট স্কিল ডেভেলপ করতে হবে এবং একটা সময় ভালো একজন ভেটেনারিয়ান হতে পারবে। একজন দক্ষ, পরিশ্রমী ও সৎ ভেটেনারিয়ানের মাধ্যমে তখন সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রত্যেকটি অংশ উপকৃত হবে।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এনিম্যাল সাইন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন (এএসভিএম) অনুষদের ২০২২ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের জন্য “ওরিয়েন্টেশন, ডিন’স এওয়ার্ড অ্যান্ড কাজী ফার্মস স্কলারশিপ প্রোগ্রাম ২০২২” শীর্ষক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন এসিআই এগ্রিবিজনেস প্রেসিডেন্ট এফএইচ আনসারী। এএসভিএম অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. লাম-ইয়া-আসাদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শেকৃবি ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো: শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন কাজী ফার্মস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী জাহেদুল হাসান, শেকৃবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো: নজরুল ইসলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল টিএসসি এর অডিটোরিয়ামে উক্ত অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
ড. আনসারী এ সময় শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর, ডীন, স্কলারশিপ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী এবং কাজী ফার্মস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী জাহেদুল হাসান সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে চমৎকার আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান।
‘আগের যুগে জমিদার বা বিত্তবান মানুষেরা মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপ দিতেন; বিভিন্ন কারণে সেটি বলতে গেলে হারিয়ে গেছে। ফলে মানুষের মনে এক ধরনের বদ্ধমূল ধারনা হয়েছে ছাত্রছাত্রীদের স্কলারশিপ দিবে কেবল সরকার। কিন্তু কাজী ফার্মস লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব কাজী জাহিদুল হাসান সেই পুরনো ইতিহাসের স্মৃতি আমাদের আবার স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। ব্যাক্তিগতভাবে আমি কাজী জাহিদুল হাসানকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই এমন একটি অনন্য উদ্যোগের জন্য। তিনি একটি মহৎ গুণের পরিচয় দিয়েছেন। এতে করে ছাত্রছাত্রীরা আরো বেশি উৎসাহিত হবে, পড়াশোনায় আরো মনোযোগী হবে এবং অনেক দূর এগিয়ে যাওয়ার সাহস পাবে। আমরা আশা করবো, সমাজের অন্যান্য বিত্তবানরা এসব কাজে আরো বেশি এগিয়ে আসবেন’ -যোগ করেন ড. আনসারী।
ড. আনসারী বলেন, বাংলাদেশের পোলট্রি শিল্প কৃষিখাতের বৃহত্তম একটি উপখাত। দেশের ক্যাটল ও ডেইরি শিল্প চমৎকারভাবে এগিয়ে চলছে। পোলট্রি ও ডেইরি-ক্যাটল শিল্পে অনেক শিক্ষিত যুবক যুবতী, বেকার, প্রবাসী এবং শিল্পোদ্যোক্তাগণ খাতটিতে সম্পৃক্ত হচ্ছেন; ফলে নতুন নতুন উদ্যোক্তা ও খামারি তৈরি হচ্ছে। তারমানে, এই দুটি শিল্প আরো অনেক বেশি বড় হবে। কারণ, মানুষের প্রাণিজ আমিষ যোগানের অত্যন্ত গুরুত্বপূণ উল্লেখিত দুটো মাধ্যম। ফলে আজকে যারা এসব শিল্প সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পড়াশোনা করছে তাদের জন্য অবারিত দিগন্ত উন্মোচিত হচ্ছে।