নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল) : বরিশালে ভাসমান বেডে তরমুজ আবাদ বিষয়ক মাঠদিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৯ মার্চ) বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুরের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র্রে (আরএআরএস) এই মাঠদিবসের আয়োজন করা হয়। ভাসমান বেডে সবজি ও মসলা চাষ, গবেষণা, সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয়করণ প্রকল্প আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. বিমল চন্দ্র কুন্ডু। সভাপতিত্ব করেন প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. গোলাম কিবরিয়া, পিএসও ড. মো. আলিমুর রহমান এবং পিএসও ড. মো. রফিকুল ইসলাম।
আরএআরএস’র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রাশেদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঊধর্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. মোস্তাক আহমেদ, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মাহমুদুল হাসান, কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিক, মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার কৃষক আয়নাল প্যাদা, বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার কৃষক পরিতোষ দাস প্রমুখ।
মাঠদিবসে প্রধান অতিথি বলেন, জলাশয়ে মাছ এবং ফসল উভয় আবাদ করা যায়। তাই যে সব জায়গা প্রায় সারাবছরই পানিতে ডুবে থাকে, সেসব স্থানগুলো চাষের আওতায় আনা দরকার। আর তা একমাত্র ভাসমান পদ্ধতির মাধ্যমেই করা সম্ভব। যেহেতু এসব বেডে মসলাসহ বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি চাষ করা যায়। সেজন্য এধরনের আবাদে স্ব-উদ্যোগী হয়ে কৃষকদের কাজ করতে হবে। তাহলে নিজেদের ভাগ্য উন্নয়ন হবে। পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে রাখা যাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
প্রকল্প পরিচালক বলেন, বাংলাদেশের ৭৭ উপজেলায় এ প্রকল্পের কার্যক্রম চলমান আছে। দেশের জলমগ্ন এলাকাগুলো ফসলের আওতায় আনাই এ প্রকল্পের মুল উদ্দেশ্য। তা বাস্তবায়নে কৃষকদেরকে বিভিন্ন ধরনের সহায়তা করা হচ্ছে। এছাড়া ভাসমান কৃষির সম্ভাব্য সমস্যা চিহ্নিত করে এর সমাধান এবং সম্ভাবনাগুলো মাঠদিবস ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কৃষকদের জানানো হচ্ছে। তা তারা বাস্তবায়ন করে সুফল পাচ্ছেন।
মাঠদিবসে বরিশালের বানারীপাড়া, উজিরপুর, আগৈলঝাড়া ও বাবুগঞ্জ, পিরোজপুরের নাজিরপুর ও নেছারাবাদ এবং মাদারীপুরের কালকিনির ৮০ জন কৃষক অংশগ্রহণ করেন।