ঝালকাঠি সংবাদদাতা: ঝালকাঠির নলছিটিতে সুর্যমুখীর বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা।উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সরজমিতে ঘুরে দেখা যায় মাঠে মাঠে হলুদ সূর্যমুখী ফুলে ভরে আছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় চলতি মওসুমে উপজেলার ১০ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ৮২ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের সূর্যমুখীর আবাদ হয়েছে। যে সব জাতের সূর্যমুখী চাষ হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো হাইসান ৩৩,বারি সূর্যমুখী ৩ ইত্যাদি।
সূর্যমুখীর আবাদ সর্ম্পকে জানতে চাইলে উপজেলার মালিপুর গ্রামের নুর আলম, আবুল বাশার খান, বাবু ইসলাম, সাবের আলি সরদার, সাগর খান আরো অনেকে জানান, চলতি মওসুমে তারা প্রায় ৬ একর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করেছেন। সূর্যমুখীতে রোগ-বালাই ও পোকার আক্রমণ কম দেখা যাচ্ছে। ফলন ভালো হয়েছে আমরা লাভবান হবো আশা করছি। পাশাপাশি কৃষি অফিস থেকে সহযোগীতা ও সঠিক পরামর্শ পাচ্ছি প্রতিনিয়ত।
উপজেলার খাজুরিয়া গ্রামের চাষী সুমন,আবুল হোসেন বলেন, আগে নিজের কিছু জমিতে বোরো চাষ করতাম। এবার মাঠে প্রায় ৫ একর জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছি। ফলন খুবই ভালো। সার্বক্ষণিক কৃষি অফিসারদের পরামর্শ ও সহযোগিতা পাচ্ছি। আশা করি, বাম্পার ফলন ও লাভবান হবো।
সুবিদপুর গ্রামের আসলাম জানান, আমি গত বছর এক বিঘা জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছিলাম, খুব ভালো ফলন হয়েছিল। তাই, এবার প্রায় ২ বিঘা জমিতে হাইসান ৩৩ জাতের সূর্যমুখী চাষ করেছি। আশা করি, এবারো ভালো ফলন পাবো।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সানজিদ আরা শাওন জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী আমরা চেষ্টা করেছি উপজেলার সবটুকু চাষযোগ্য জমিতে আবাদ করতে। রবি মৌসুমে বোরো, সরিষা, সূর্যমুখী, মুগ প্রভৃতি ফসল লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী আবাদ করতে সক্ষম হয়েছি। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী তেলজাতীয় ফসলের আবাদ ৪০% বৃদ্ধিতে আমার অফিসের সকল কর্মকর্তারা নিবিড়ভাবে কৃষকের সাথে মিশে নানা রকম পরামর্শ দিয়ে ফসল উৎপাদনে সহায়তা করে যাচ্ছে। দ্রুত সেবা প্রদানের জন্য অফিসে সার্বক্ষণিক হেল্প ডেস্ক চালু করেছি। কৃষকদের চাহিদা অনুযায়ী সেবা দিতে আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। আশা করি, সবকিছু অনুকূল থাকলে নলছিটিতে এবার সূর্যমুখীর বাম্পার ফলন হবে।