কৃষিবিদ মো. আব্দুল্লাহ-হিল-কাফি (রাজশাহী) : রাজশাহীর ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয় কর্তৃক সমলয় পদ্ধতিতে ১১০ বিঘা জমিতে উন্নত জাত ব্রিধান-৯২ জাতের ধান প্রদর্শনীর মাধ্যমে স্থাপিত ফসল কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৮ মে) রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার ধোকড়াকুল গ্রামে উক্ত অনুষ্ঠান হয়।
ব্রি’র (রাজশাহী) মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ ড. মো. ফজলুল ইসলামের সভাপত্বিতে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. শাহজাহান কবীর। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাজশাহী অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো: শামছুল ওয়াদুদ এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাজশাহীর উপ পরিচালক কৃষিবিদ মো: মোজদার হোসেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রধান অতিথি কৃষকদের কাছে থেকে ধান চাষাবাদের সুবিধা-অসুবিধা মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং তাদের সে বিষয়ে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।
প্রধান অতিথি বলেন, বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে রবি মৌসুমে ব্লক প্রদর্শনীর মাধ্যমে সমলয়ের চাষাবাদের ভিত্তিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান চাষের কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন। বর্তমান বোরো-রোপা আমন শস্য বিন্যাসের পরিবর্তন ঘটিয়ে শস্য নিবিড়তা ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বোরো-ধৈঞ্চা-রোপা আমন-সরিষা চাষের শস্যবিন্যাস প্রতিস্থাপন করতে হবে।
তিনি বলেন, কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে রোপা আমন ও বোরো ধান চাষের মধ্যবর্তী সময়ে একদিকে সরিষা আবাদ করার মাধ্যমে দেশের ভোজ্য তেলের চাহিদা পুরুণ সম্ভব হবে অপরদিকে আপনাদের ফসল উৎপাদনের খরচ কম হবে এবং আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারবেন।
সমলয়ে চাষাবাদে ৪৮ জন সুবিধা ভোগী কৃষকের মাঝে উপকরণ সুবিধা প্রদান করা হয় এবং ফসল কর্তন ও মাঠ দিবসে প্রায় ৪০০ জন কৃষক উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও প্রধান অতিথি নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার দ্বারিশপুর গ্রামে ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয়, রাজশাহী কর্তৃক সমলয় চাষে ৬৫ বিঘা জমিতে উন্নত জাত ব্রিধান-৮৯ জাতের ধান প্রদর্শনীর মাধ্যমে স্থাপিত ফসল কর্তন ও কৃষক সমাবেশ যোগ দেবেন।