সিলেট সংবাদদাতা: বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, সিলেট কর্তৃক আয়োজিত আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প এর সহযোগিতায় সিলেট অঞ্চলে অনাবাদি জমি চাষের আওতায় আনায়নে করণীয় শীর্ষক কর্মশালা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, সিলেটের সম্মলেন কক্ষে মঙ্গলবার (০৯ মে) অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, বিভাগীয় কমিশনার, সিলেট এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিদ মো. মোশাররফ হোসেন খান, অতিরিক্ত পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, সিলেট অঞ্চল, সিলেট; দেবজিৎ সিংহ, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক), সিলেট; কৃষিবিদ মো. রকিব উদ্দিন, প্রকল্প পরিচালক, আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প; মো.মজিবর রহমান, জেলা প্রশাসক, সিলেট।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক, কৃষিবিদ মো. রকিব উদ্দিন। উপস্থাপনায় জানানো হয়- প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো- সিলেট অঞ্চলে পতিত জমি ব্যবহার করে আধুনিক প্রযুক্তির বিস্তার ও শস্য বহুমুখীকরণের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, কৃষকের আয় ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং পুষ্টি ও সামাজিক ব্যবস্থার টেকসই উন্নয়ন করা।
বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বক্তব্যে বলেন, সিলেট অঞ্চলে আবাদযোগ্য ও পতিত জমি চাষের আওতায় আনায়নে লক্ষ্যে সমস্যাসমূহ চিহ্নিত করে ফসল উৎপাদন ও শস্যের নিবিড়তা বাড়াতে হবে। সেচ ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন এবং সম্ভাবনাময় ফসল উৎপাদনের জন্য স্বল্পমেয়াদী, মধ্যমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে । তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী কৃষিকে সবোর্চ্চ গুরুপ্ত দিয়ে সকল বিভাগের উন্নয়ন প্রকল্পের কার্যক্রম বাস্তবায়নের নির্দেশনা দিয়েছেন। সিলেট অঞ্চল খাদ্যে উদ্বৃত্ত। সিলেট অঞ্চলে যান্ত্রিকীকরণ কৃষিতে বিপ্লব নিয়ে এসেছে। চলতি বোরো মৌসুমে কৃষি বিভাগ ও প্রশাসনের সহযোগীতায় প্রায় ১১০০ টি কম্বাইন্ড হারভেস্টার এর মধ্যমে ৮ এপ্রিল এর মধ্যে শতভাগ বোরো ধান কর্তন করা হয়েছে এবং ফলনও ভালো হওয়ায় কৃষক লাভবান হবেন। বিশেষ করে ফসল-ভুট্টা, সূর্যমূখী, তরমুজ, নাগামরিচ, জারা লেবু, মাল্টা ও কমলা এবং ব্রি, বারি উদ্ভাবিত উচ্চফলনশীল জাত সমূহ মাঠ পর্যায়ে সম্প্রসারণ এবং তা বাস্তবায়নের কর্মশালায় উপস্থিত সকলকে এক সঙ্গে কাজ করা আহ্ববান জানান।
উক্ত কর্মমালায় কৃষিমন্ত্রণালয়ের অধীনে সিলেট ‘অঞ্চলের ডিএই, ব্রি,বারি, কৃষি তথ্য সার্ভিস, এসসিএ, বিনা, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বিদ্যূৎ উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তাবৃন্দ, এনজিও প্রতিনিধি ও শিল্প প্রতিষ্টানের ব্যক্তিবর্গ, জনপ্রতিনিধিবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকসহ প্রগতিশীল কৃষকগণ অংশগ্রহণ করেন।