মো. জুলফিকার আলী (সিলেট) : কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, সিলেটে অঞ্চল, সিলেট এর আয়োজনে ২০২২-২৩ অর্থ বছরের রাজস্ব খাতের অর্থায়নে “আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কর্মশালা” অতিরিক্ত পরিচালকের কার্যালয়, ডিএই,সিলেট অঞ্চলের সম্মেলন কক্ষে ২৫ মে ২০২৩ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে কৃষিবিদ মো. মোশাররফ হোসেন খান, অতিরিক্ত পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, সিলেট অঞ্চল, সিলেট এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিদ মো. আশরাফ উদ্দিন, অতিরিক্ত পরিচালক (মনিটরিং ও বাস্তবায়ন), সরেজমিন উইং, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি, ঢাকা।
তিনি বলেন, সিলেট অঞ্চলে রবি ও খরিপ মৌসুমে আবাদি ও অনাবাদি পতিত জমিতে রাজস্বখাতে অর্থায়নে বারি ও ব্রি এর নতুন নতুন উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল জাতসমূহ সম্প্রসারণ মাধ্যমে ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধি করতে হবে। অল্প জমিতে সুপরিকল্পিত পরিকল্পনা প্রনয়ন করে কৃষির সার্বিক উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য কর্মশালায় উপস্থিত সকলের প্রতি আহবান জানান। তিনি আরোও বলেন-ভোজ্যতেলের আমদানি নির্ভরতা কমাতে গত বছরে সারাদেশে সরিষার আবাদ দ্বিগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। মানব শরীরের জন্য সরিষার তেল উপকারী, তাই সবাইকে সরিষার তেল খাওয়ার জন্য পরামর্শ প্রদান করেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- কৃষিবিদ কাজী মোহাম্মদ মজিবুর রহমান, উপপরিচালক, ডিএই, সিলেট অঞ্চল, সিলেট; ড. প্রার্থ সারথী বিশ্বাস, মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্ত, ব্রি, নাগুড়া. হবিগঞ্জ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন-কৃষিবিদ মো. রকিব উদ্দিন, প্রকল্প পরিচালক,আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প।
সিলেট অঞ্চলের ২০২২- ২০২৩ অর্থ বছরের রাজস্ব খাতের অর্থায়নে বাস্তবায়িত বিভিন্ন ফসলের প্রধান প্রধান কার্যক্রম এবং কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে কিনোট উপস্থাপন করেন, সিলেট অঞ্চলের পক্ষে কৃষিবিদ মোহাম্মদ কাজী মজিবুর রহমান। কর্মশালায় ডিএই, সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভী বাজার ও সুনামগঞ্জ জেলায় ২০২২- ২০২৩ অর্থ বছরের রাজস্ব খাতের অর্থায়নে মাধ্যমে বাস্তবায়িত প্রদর্শনী স্থাপন, মাঠদিবস ও কৃষক প্রশিক্ষণ, দল গঠনসহ গত অর্থ বছরের লক্ষ্যমাত্রা ও অর্জন এবং আগামী অর্থ বছরের কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে বিস্তারিত মাল্টি মিডিয়ার মাধ্যমে তথ্য উপস্থাপন করা হয়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনা করেন- কৃষিবিদ সুব্রত দেবনাথ, উপজেলা কৃষি অফিসার, ফেঞ্চুগঞ্জ, সিলেট।
উক্ত কর্মশালায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে সিলেট ‘অঞ্চলের ডিএই, ব্রি ,বারি, বিএডিসি, কৃষি তথ্য সার্ভিস, এসআডিআই, এসসিএ, বিনার কর্মকর্তাবৃন্দ, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও প্রগতিশীল কৃষকসহ অংশগ্রহণ করেন।