রবিবার , নভেম্বর ১৭ ২০২৪

এনিমেল হাজবেন্ড্রি পেশাজীবীসহ সংশ্লিষ্টগণ দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের চাবিকাঠি হিসেবে কাজ করছে -মৎস‌্য ও প্রা‌ণিসম্পদ মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতি‌বেদক: এনিমেল হাজবেন্ড্রি পেশাজীবীরাসহ এ খাত সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা জিডিপির প্রবৃদ্ধিসহ দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের চাবিকাঠি হিসেবে কাজ করছে, ব‌লে মন্তব‌্য ক‌রে‌ছেন  মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, এম‌পি। এ সময় বাংলাদেশ এনিমেল হাজবেন্ড্রি এসোসিয়েশনের সদস্যদের দেশের উন্নয়নে গর্বিত সেনানী হিসেবে কাজ করার আহ্বান জানান মন্ত্রী ।

শনিবার (২৭ মে) রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ মিলনায়তনে বাংলাদেশ এনিমেল হাজবেন্ড্রি এসোসিয়েশনের ১১তম দ্বিবার্ষিক সম্মেলন ও এ উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রদানকালে এসব কথা ব‌লেন তি‌নি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, খাবারের একটি বড় অংশ মাছ, মাংস, দুধ ও ডিমের যোগান দেয়  মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত। প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ করে এ খাত। পোল্ট্রি, ডেইরি ও মৎস্য খাতে উদ্যোক্তা তৈরি হওয়ায় বেকারত্ব দূর হচ্ছে। এ খাতের বিকাশের কারণে গ্রামীণ অর্থনীতি সচল হচ্ছে। এ খাত রপ্তানির মাধ্যমে  বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সুযোগ তৈরি করছে। এভাবে দেশের উন্নয়নে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিটি খাত একযোগে কাজ করছে।

মন্ত্রী বলেন, অসাংবিধানিক উপায়ে যারা ক্ষমতায় আসতে চায় তারা সংবিধানের ৭(ক) অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করতে চায়। এ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করা মানে রাষ্ট্রদ্রোহিতা। দেশে সংবিধানের বিকল্প কোন আইন নেই। নির্বাচনের জন্য দেশের সর্বোচ্চ আইন সংবিধান আছে। সংবিধানে লেখা আছে নির্বাচন কিভাবে হবে। নির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনকে যত সহায়তা দেওয়া দরকার সেটা সরকারপ্রধান করবে। দেশের সংবিধান পরিপন্থী কোন প্রক্রিয়ায় যাওয়ার সুযোগ নেই।  যদি কেউ অন্য কোন উপায়ে পেছনের গলি থেকে আসতে চান, বিদেশ থেকে কে কী বলে সেটা নিয়ে আপ্লুত থাকতে চান, এসব করে লাভ নেই। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এখানকার রাজনীতি নির্ধারণ হবে।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার সরকারের সময়ে কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়ন হয়েছে, কৃষিবিদদের উন্নয়ন হয়েছে। বাংলাদেশ কৃষিতে অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছে। শেখ হাসিনা না থাকলে কৃষিতে আবার কেউ ভর্তুকি দিয়ে চালু রাখবে না। অথচ বিএনপি সরকারের সময়ে কৃষকদের হাহাকার ছিল। কৃষি-চাষাবাদ বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছিল। অনেক কৃষি জমি, পুকুর, খালবিল, নদীনালা, বাওড় পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল। কারণ সরকারের কোন সহযোগিতা, পৃষ্ঠপোষকতা, প্রণোদনা  ছিলনা। বঙ্গবন্ধু কন্যা আসার পর কৃষির সবক্ষেত্রে তিনি সহযোগিতা করেছেন। কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়ন, কৃষিবিদদের উন্নয়ন, কৃষির বিপণন, বহুমুখীকরণ, যান্ত্রিকীকরণ সব জায়গায় শেখ হাসিনার ভূমিকা রয়েছে।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, শেখ হাসিনা না থাকলে বাংলাদেশ আবার অন্ধকারের বাংলাদেশে পরিণত হবে। শেখ হাসিনা না থাকলে উৎপাদন ক্ষমতা, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা ভঙ্গুর অবস্থায় পড়বে। সমৃদ্ধ বাংলাদেশ চাইলে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ চাইলে, আগামী পৃথিবীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগিয়ে যাওয়ার বাংলাদেশ চাইলে, অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষাসহ রাষ্ট্রীয় ম্যান্ডেট প্রতিপালনে সক্ষম বাংলাদেশ চাইলে শেখ হাসিনার মতো সেরা দেশপ্রেমিক ক্রাইসিস ম্যানেজার এবং উন্নয়নের ম্যাজিশিয়ান আবারও দরকার।

বাংলাদেশ এনিমেল হাজবেন্ড্রি এসোসিয়েশনের সভাপতি ড. মো. নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের

মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ও ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক ডা. রেয়াজুল হক ও এসিআই এগ্রোবিজনেস-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এফ এইচ আনসারী। প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ছাজেদা আখতার। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ড. অসীম কুমার দাস।

‘ভিশন ২০৪১ অ্যান্ড রোডম্যাপ ফর ক্রিয়েটিং ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স লাইভস্টক ইন বাংলাদেশ: রোল অব অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি প্রফেশনাল’ শীর্ষক উল্লিখিত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের প্রকল্প পরিচালক ড. শরীফ আহমেদ চৌধুরী।

এর আগে মন্ত্রী বেলুন উড়িয়ে সম্মেলন উদ্বোধন করেন।

This post has already been read 2052 times!

Check Also

ইলিশ অভয়াশ্রম এলাকা পরিদর্শন করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

চাঁদপুর সংবাদদাতা: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার আজ (মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর) সকালে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা …