গাজীপুর সংবাদদাতা: চতুর্থ শিল্প বিপ্লব কৃষি বিজ্ঞানীদের হাত ধরেই বাস্তবায়ন হবে। আপনাদের হাত ধরেই দেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে। সুতরাং, এই প্রশিক্ষণটি ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আধুনিক ধান উৎপাদন প্রযুক্তি সম্পর্কে নতুন অনেক জ্ঞান অর্জন করার সুযোগ পেয়েছেন।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে (ব্রি) কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাদের মাসব্যাপী “আধুনিক ধান চাষাবাদ কৌশল এবং সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা” শীর্ষক প্রশিক্ষণ কোর্স এর সমাপনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন ব্রি’র মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর। সোমবার (১২ জুন) গাজীপুরের ব্রি সদর দপ্তরের প্রশিক্ষণ ভবনের কনফারেন্স রুমে উক্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, বর্তমানে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি। এই অর্জন ধরে রাখা আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান দিয়ে সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে আরও সামনে এগিয়ে যাব এমনটাই আমরা প্রত্যাশা করি। অনুষ্ঠানে ব্রির মহাপরিচালক দেশ ও জাতির কল্যাণে সকলকে আন্তরিকভাবে কাজ করার আহবান জানান।
প্রশিক্ষণার্থীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন জাকিব হোসেন, নুরনাহার, মো. মনিরুজ্জামান। প্রশিক্ষণে প্রথম স্থান অধিকার করেন নারায়নগঞ্জের বীজ প্রত্যয়ন কর্মকর্তা মুহাইমিনুল ইসলাম, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন মানিকগঞ্জের কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের প্রশিক্ষক শামসুন্নাহার এবং তৃতীয় হন জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. রতন মিয়া। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সিনিয়র লিয়াজুঁ অফিসার মোহাম্মদ আব্দুল মোমিন। অনুষ্ঠানে ব্রি’র সকল বিভাগীয় ও শাখা প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রশিক্ষণ বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রধান ড. মো. শাহাদাত হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রির উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা সমন্বয়কারী ড. মুন্নুজান খানম। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কৃষিতত্ত্ব বিভাগের সিএসও এবং প্রধান ড. মো. শহিদুল ইসলাম, ফলিত গবেষণা বিভাগের সিএসও এবং প্রধান ড. মো. হুমায়ুন কবির, খামার ব্যবস্থাপনা বিভাগের সিএসও এবং প্রধান সিরাজুল ইসলাম।
প্রশিক্ষণে ৩০ জন কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা অংশ নিয়েছেন। প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে গত ১৪ মে।