Tuesday , April 22 2025

দেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আঞ্চলিক জলবায়ু সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক: দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো নিয়ে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো  অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘আঞ্চলিক জলবায়ু সম্মেলন ২০২৩’। শুক্রবার (৮ আগস্ট) সকাল থেকে শুরু হওয়া উক্ত সম্মেলন চলবে রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় রাজধানী ঢাকার হোটেল শেরাটনের হলরুমে গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ‘আঞ্চলিক জলবায়ু সম্মেলন ২০২৩’ এর বিস্তারিত তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রীর পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত ও ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশ এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি।

সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, “এই আয়োজনের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী জলবায়ু সংকট, বৈশ্বিক পরিবেশ দূষণ, জল ব্যবস্থাপনা, জলবায়ু সংক্রান্ত কার্যক্রমে অর্থায়ন, বিশুদ্ধ বায়ু, শক্তি নিরাপত্তা এবং উল্লেখিত দেশগুলোর জন্য প্রাকৃতিক সম্পদের টেকসই ব্যবহার নিয়ে আলোচনার সুযোগ সৃষ্টি হবে।”

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশ এর চেয়ারপারসন তানভির শাকিল জয় এমপি ও আহ্বায়ক নাহিম রাজ্জাক এমপি এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশ এর ডেপুটি  রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ আনোয়ারুল হক ও ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশের অন্যান্য সদস্যসহ আয়োজক, সহযোগী সংস্থাসমূহের প্রতিনিধিবৃন্দ।

তিন দিনব্যাপী এই আয়োজনে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত, ভুটান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপসহ বিভিন্ন দেশের সংসদ সদস্যবৃন্দ, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, শীর্ষ পর্যায়ের নীতিনির্ধারকগণ, কর্পোরেট সেক্টর, উন্নয়ন সহযোগী দেশীয় ও আর্ন্তজাতিক সংস্থা সহ বিভিন্ন সেক্টরের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকবেন। সম্মেলনে ৪ টি থিমেটিক সেগমেন্ট ও ১৯ টি সেশনে আলোচক (প্যানেলিস্ট) হিসেবে অংশগ্রহণ করবেন ১২০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

এছাড়াও দেশ ও দেশের বাইরের প্রায় ৬০০ জন প্রতিনিধি সরাসরি এই সম্মেলনে অংশ নিবেন বলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত গণমাধ্যমকে জানান।

ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশ, দ্য আর্থ সোসাইটি, অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন (ওআরএফ)  ও ক্লাইমেট পার্লামেন্ট এর যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘আঞ্চলিক জলবায়ু সম্মেলন ২০২৩’।

এই আয়োজনের সাথে সরাসরি সংশ্লিষ্ঠ আছেন সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, বিভিন্ন দেশের দূতাবাস, জাতীয় ও আন্তজার্তিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা মিলিয়ে মোট ২২টি প্রতিষ্ঠান।

সম্মেলনের স্ট্র‍্যাটেজিক পার্টনার হিসেবে থাকছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও ইউএনডিপি বাংলাদেশ।

বিভিন্ন সেশনের লিড অর্গানাইজেশন হিসেবে থাকছে এ্যাকশনএইড বাংলাদেশ, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, নেদারল্যান্ডস অ্যাম্বাসি, সুইজারল্যান্ড অ্যাম্বাসি, শক্তি ফাউন্ডেশন ও ইউএসএআইডি।

গোল্ড স্পনসর হিসেবে থাকছে কোকা-কোলা ও গ্রামীণফোন।

কো-লিড অর্গানাইজেশন হিসেবে থাকছে এএফডি- ফ্যান্স এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট ও চেইঞ্জ ইনিশিয়েটিভ।

সাসটেইনেবল ইনভেস্টমেন্ট পার্টনার হিসেবে থাকছে স্ট্যান্ডার্ট চাটার্ড ব্যাংক ও সাসটেইনেবিলিটি পার্টনার হিসেবে থাকছেন ইউনিলিভার।

পার্টনার হিসেবে থাকছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স, সেন্টার ফর অ্যাটমোস্ট অ্যাটমোস্ফিয়ারিক পলিউশন স্ট্যাডিজ, সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল এন্ড জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সার্ভিসেস, শক্তি ইনস্টিটিউট-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সাউথ এশিয়ান জাস্ট ট্রানজিশন এ্যালায়েন্স, ইউএস এম্বাসি টু বাংলাদেশ, ওয়াটারএইড এবং ইয়ুথ ফর কেয়ার প্ল্যাটফর্ম।

This post has already been read 3993 times!

Check Also

পার্বত্য বন ও হালদা-কর্ণফুলীর সুরক্ষা ব্যর্থ হলে চট্টগ্রাম পড়বে সুপেয় পানির সংকটে

চট্টগ্রাম সংবাদদাতা: বন্দরনগরী চট্টগ্রাম মহানগরী একদিকে বর্ষাকালে পুরো শহর পানিতে থলিয়ে যায় আবার শুকণা মৌসুমে …