নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস উদযাপনের লক্ষ্যে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ইমার্জেন্সি সেন্টার ফর ট্রান্সবাউন্ডারি অ্যানিমেল ডিজিজেস (একটাড) প্রোগ্রাম, ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএইড) এর অর্থায়নে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল ইউনিট (সিডিসি) ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর (ডিএলএস) এর সহায়তায় জলাতঙ্ক নির্মূলে বাংলাদেশ সরকারের ব্যাপকহারে কুকুরের টিকাদান কার্যক্রম সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকার বিভিন্ন স্থানে কুকুরের টিকাদান অভিযান পরিচালনা করে।
জলাতঙ্ক প্রতিরোধ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এবং এই ভয়াবহ রোগকে পরাজিত করার অগ্রগতি তুলে ধরতে প্রতি বছর বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস পালিত হয়। এই বছর জলাতঙ্ক দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে “জলাতঙ্কের অবসান, সকলে মিলে সমাধান”।
ডা. এস এম গোলাম কায়সার, ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার, সিডিসি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এই টিকাদান অভিযানে অংশগ্রহণ করেন এবং বলেন, “সরকার ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশ থেকে জলাতঙ্ক নির্মূল করতে দেশব্যাপী বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস ২০২৩ সফলভাবে উদযাপনের জন্য প্রাণী ও মানব স্বাস্থ্য খাতের মধ্যে আন্তরিক সহযোগিতা কাম্য।”
এফএও এবং এর স্থানীয় ও আঞ্চলিক অংশীদারদের উদ্ভাবনী কৌশল ব্যবহার করে দক্ষ কুকুর ধরার লোক টিকা দেওয়ার সময় কুকুরকে নিরাপদে ধরে রাখে। যে কুকুরগুলিকে হাত দিয়ে নিরাপদে ধরা যায় না তাদের বিশেষ কৌশলে জালের সাহায্যে ধরা হয় – এই পদ্ধতিকে “নিনজা” এবং “এস্কেপ পাথ” কৌশল বলা হয়।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের বিজ্ঞানী ডা. সুকেশ চন্দ্র বৈদ্য বলেন, ‘‘ওয়ান হেলথ উদ্যোগে এফএও এর সহায়তায় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নজরদারি এবং কুকুরের গণ টিকাদানের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে আমরা কাজ করছি।’’
কুকুরের টিকাদান অভিযানে যোগদান করেন ইউএসএইড বাংলাদেশের নতুন মিশন ডিরেক্টর রিড এশলিম্যান, তিনি ওয়ান হেলথ মাল্টিডিসিপ্লিনারি টিমের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন – যেই টিমে দক্ষ কুকুর ধরার লোক এবং এফএও থেকে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত প্রাণি চিকিৎসক যারা কুকুরকে টিকা দেওয়া, মাইক্রোচিপ লাগানো এবং টিকা প্রাপ্ত কুকুরকে কলার পরানোর কাজে নিয়োজিত ছিল। টিকাদান কার্যক্রমে নিয়োজিত প্রাণি চিকিৎসকদের বাংলাদেশের এফএও একটাড প্রোগ্রামের মাধ্যমে ইন্দোনেশিয়া সরকারের দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতার আওতায় কুকুরের টিকাদানের উপর উন্নত প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
ইউএসএইড-এর গ্লোবাল হেলথ সিকিউরিটি স্পেশালিস্ট ডা. মো. আবুল কালাম টিকাদান অভিযানে অংশগ্রহণ করেন এবং তিনি উল্লেখ করেন, “জলাতঙ্ক নির্মূলে সারাদেশে কুকুরের গণ টিকা দেওয়া কার্যক্রমে বাংলাদেশ সরকার এবং এফএও-এর সাথে অংশীদারিত্ব করতে পেরে ইউএসএইড গর্বিত। একসাথে কাজ করে ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশ থেকে ক্যানাইন জলাতঙ্ক নির্মূল করার লক্ষ্য অর্জনে আমরা সহায়তা করতে পারি।”
বিশ্বব্যাপী জলাতঙ্ক নির্মূলে বিভিন্ন সেক্টরের স্টেকহোল্ডার এবং সংস্থাকে একসাথে কাজ করতে উৎসাহিত করাই বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস উদযাপনের উদ্দেশ্য।