নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ ( বিআইডব্লিউটিএ) আয়োজিত নৌকা নৌকা বাইচে ব্যাপক মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে ৩টি বাইচের নৌকা পানিগে ডুবে যায়। এখনো মুন্সিগঞ্জ থেকে আগত ডুবে যাওয়া তুফান-২ নৌকার খোঁজ মিলেনি। এদিকে নৌকা বাইচে ত্রিপক্ষের মারামারিতে প্রায় অর্ধশত মাঝি মাল্লা আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। বৃহস্পতিবার রাজধানী মোহাম্মদপুরের তুরাগ নদীতে বিআইডব্লিউটিএ আয়োজিত নৌকা বাইচে এ ঘটনা ঘটে।
তুফান-২ নৌকার মালিক শেখ মো. সুহেল সাংবাদিকদের বলেন, বাইচ শুরুর আগেই বাইচ পরিচালনায় দায়িত্বরত বিআইডব্লিউটিএ’র স্প্রিড বোট আমার নৌকা উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে ডুবিয়ে দিয়েছে। আমার বহু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অনেক টাকা খরচ করে তুরাগ নদীতে বাইচে অংশ নিতে এসেছিলাম। কিন্তু আমার নৌকা ডুবিয়ে দেয়ার কারণে বাইচে অংশ নিতে পারলাম না।
তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে সার্বিক নিরাপত্তা দিবেন বলে আগেই জানিয়েছিলো। কিন্তু বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরেও আমার নৌকাটি তুলতে কোনো সহাযোগিতা করছেনা।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র মুখপাত্র মোবারক হোসেন বলেন, কিভাবে নৌকাটি ডুবেছে তা আমরা বলতে পারবো না। তবে কাল নৌকাটি তোলার ব্যাবস্থাবকরা হবে।
প্রত্যক্ষদর্শী বেশ কয়েকজন দর্শক বলেন, স্টার্টিং পয়েন্ট থেকে একসঙ্গে চারটি নৌকার টান ছাড়া হয়। কিছুদূর আসার পর এক নৌকা আরেক নৌকার সঙ্গে চাপিয়ে দেয়। এতে এক নৌকার মাঝি আরেক নৌকার মাঝিরা বইঠা দিয়ে আঘাত করতে থাকে। এক পর্যায়ে একটি নৌকা ডুবে যায় এবং ওই নৌকার মাঝি মাল্লারা সাতরে নদীর তীরে উঠে। একটু সামনে যাওয়ার পর অবশিষ্ট ৩ নৌকার মধ্যে আরো দুটি নৌকা চাপানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারাও একে অপরে মারামারিতে লিপ্ত হয়। এ সময় আরো একটি নৌকা ডুবে যায়। এ পর্যায়ে দুটি নৌকা শিকদার বাড়ি এবং কামাল এন্ড সন্স গন্তব্যে চলে যায়।
ত্রিমোহনী থেকে বাইচ দেখতে আসা এক দর্শক বলেন, ভেবেছিলাম সরকারী প্রতিষ্ঠানের আয়োজিত বাইচে নিয়ম শৃঙ্খলা থাকবে, নিয়ম নীতি থাকবে। কিন্তু এসব কিছুই ছিলো না। নদীর প্রতিকূলে কখনো বাইচ হয় না। কিন্তু তারা তাই করেছে। দুটি করে নৌকার টান ছাড়া উচিত ছিলো। এটিবকরা গলে নৌকা চাপাচাপির ঘটনা ঘটতো না। বাইচ পরিচালনায় কোনো শৃঙ্খলা ছিলো না।
সরজমেনে দেখা যায়, দুপুর থেকেই মোহাম্মদপুর তুরাগ নদীর দুই তীরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে দর্শকরা বাইচ দেখতে ভিড় করে। কেউ আবার ইঞ্জিন চালিত বেট নিয়ে বাইচ দেখতে আসে। তবে সুন্দর বাইচ না হওয়ার কারণে দর্শকরা হতাশ হয়ে ফিরে যায়।
নৌকা বাইচ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি। পরে বাইচে বিজয়ীদেরকে মোটরসাইকেল পুরস্কার দেয়া হয়। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন মন্ত্রী
বলেন, সমগ্র পৃথিবী বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখে এগিয়ে যেতে চায়। বাংলাদেশ সমাদৃত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা সম্মান নিয়ে আসছেন। এসব সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ও নৌকা মার্কার নেতৃত্বে । কাজেই দেশের মানুষ নৌকার সাথে থাকবে।