রবিবার , ডিসেম্বর ২২ ২০২৪

প্রতি ইঞ্চি জমি আবাদের আওতায় আনতে হবে -কৃষি সচিব

সিলেট অঞ্চলের পতিত জমি আবাদ ও ফসলের উৎপাদনশীলতা শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার।

সিলেট সংবাদদাতা: কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা মোতাবেক প্রতি ইঞ্চি জমি আবাদের আওতায় আনতে হবে। কৃষি প্রধান এ দেশের কৃষি উন্নয়নের লক্ষ্য কৃষি সংশ্লিষ্ট সকলকে সম্মিলিত ভাবে কাজ করতে হবে। বিশেষ করে সিলেট অন্চলের কৃষি উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে এ অন্চলের সেচের পানির অভাব দূর করতে হবে। সকল পতিত জমিকে  চাষাবাদের উপযোগী করে তুলতে হবে। নদী খাল খনন ও সেচ অবকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে পানির প্রাপ্যতা বৃদ্ধি করতে হবে। উন্নত সেচ বিতরণ ব্যবস্থার ব্যবহার বৃদ্ধি করে সেচের পানির অপচয় রোধ করতে হবে। তিনি বলেন, গবেষকদের গবেষণালব্দ জ্ঞান কৃষির উন্নয়নে কাজে লাগাতে হবে। তিনি গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলিকে হাওর এলাকায় গবেষণা কর্মকাণ্ড আরো জোরদার করার আহবান জানান।

তিনি শনিবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট গাজীপুর এর উদ্যোগে আয়োজিত সেচ ব্যবস্থাপনা উন্নয়নের মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের পতিত জমি আবাদ ও ফসলের উৎপাদনশীলতা শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবিরের সভাপতিত্বে ও ব্রি প্রশিক্ষণ বিভাগের সিনিয়র লিয়াজো অফিসার ড. মো. আব্দুল মোমিন এর পরিচালনায় কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক এসএম শহীদুল ইসলাম, কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব নাজিয়া শরীন, কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের সরেজমিন উইং এর পরিচালক তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান,

কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার, পরিচালক ড. মো. খালেকুজ্জামান, পরিচালক (প্রশাসন ও সাধারণ পরিচর্যা) ড. মো. আব্দুল লতিফ, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ সিদ্দিকী এনডিসি, জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান।

কর্মশালায় মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্রি’র মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মনিরুজ্জামান, বিশেষ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিনা উপকেন্দ্র সুনামগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ নুরুন নবী মজুমদার, সিলেট অঞ্চলে আগামী বোরো উৎপাদন কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সিলেট অঞ্চলেের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো. মোশাররফ হোসেন খান।

 কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সিলেট এর সহযোগিতায় দিনব্যাপী কর্মশালায় সিলেট বিভাগের সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার এবং সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন সংস্থার সম্প্রসারণবিদ,প্রকৌশলী, গবেষক, সার বীজ ডিলার ও কৃষক প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

মুল প্রবন্ধে ড.মো. মনিরুজ্জামান বোরো মৌসুমে সেচের অভাবে সিলেট বিভাগে প্রায় ২৬ভাগ জমি পতিত থাকে। এছাড়াও যেটুকু জমিতে আবাদ করা হয়, সেখানে সেচের পানির অভাবে ফলন প্রায় অর্ধেকে নেমে আসে। নদী খাল খনন, ভূগর্ভস্হ পানিতে সম্পুরক সেচের ব্যবস্থা করা,উন্নত সেচ বিতরণ পদ্ধতি স্হাপনের মাধ্যমে হাওর এলাকার ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও বিপুল পরিমাণ পতিত জমি আবাদের পরিকল্পনা তুলে ধরেন।

সভাপতির বক্তব্যে ড. মো. শাহজাহান কবীর বলেন,সিলেট এলাকার কৃষি উন্নয়নের সবচেয়ে বড় অন্তরায় সেচের পানির অভাব। এ সেচের পানির অভাব দূর করার জন্য বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট কাজ করছে। ইতিমধ্যে সুনামগঞ্জের কয়েকটি স্হানে শ্যালো টিউবওয়েল স্হাপনের মাধ্যমে সেচের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কৃষি উন্নয়নের লক্ষ্য সবাই এক সাথে কাজ করলে সিলেটের অনেক পতিত জমি চাষের আওতায় আসবে বলে তিনি জানান।

This post has already been read 2399 times!

Check Also

আমন ধানে ব্রাউন প্ল্যান্ট হপার আক্রমণ: ফলনের ক্ষতি ও করণীয়

ড. মো. মাহফুজ আলম: বাংলাদেশে ধান প্রধান ফসল হিসেবে পরিচিত এবং এর উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির …