মঙ্গলবার , ডিসেম্বর ৩ ২০২৪

চকচকে চাল খাওয়ার প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসার আহবান খাদ্যমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক: খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, বেশির ভাগ মানুষ সরু ও চকচকে চাল খেতে পছন্দ করে। বারবার ছাটাই করায় চালের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়।প্রায় কুড়ি লাখ মেট্রিক টন চাল হাওয়া হয়ে যায়। স্বাস্থ্য সচতেন মানুষ এখন লাল চাল খায়। কারণ, লাল চালে পুষ্টি বেশি। এ সময় খাদ্যমন্ত্রী চকচকে চাল খাওয়ার প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসার আহবান জানিয়ে বলেন, ভোক্তারা লাল চাল খেলে মিল মালিকরাও ব্যবসায়িক কারণে চকচকে চাল তৈরি করার আগ্রহ হারাবে। আমরা জনগণের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করেই লাল চাল খাওয়ার কথা বলি।

আজ সোমবার ( ১৬ অক্টোবর ) ঢাকায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি। উল্লেখ্য, এবছর খাদ্য দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়- পানি জীবন, পানিই খাদ্য। কেউ থাকবে না পিছিয়ে।

তিনি বলেন, আমাদের দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এবছর বিদেশ থেকে চাল আমদানি করতে হয়নি। সামনের দিনগুলোতে আমরা বিদেশে চাল রপ্তানি করা যায় কিনা তা খতিয়ে দেখছি।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের জীবনে পানির ব্যবহার সর্বত্র। এ পানির সদব্যবহার করতে হবে। পানি না হলে ফসল উতপাদন হবে না। ফসল না হলে আমরা বাঁচতে পারবো না। অনেকে বলেন ১ কেজি ধান উতপাদনে চার হাজার লিটার পানি লাগে। কৃষকেরা অনকে সময় প্রয়োজনরে তুলনায় বেশি পানি সেচ কাজে ব্যবহার করেন। সচেতনতা বাড়িয়ে পানির অপচয় কমাতে হবে।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, দেশে জমি কমেছে কিন্তু জনসংখ্যা বেড়েছে। সরকার জনসংখ্যাকে দক্ষ জনশক্তিতে রুপান্তর করত পদক্ষেপ নিচ্ছে। চাল, মাছ,আম ও সবজি উতপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। অনেক ফসল মৌসুমের সময় সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়। প্রসেসিং করে আম ও সবজি রপ্তানী করতে পারলে আমাদের কৃষকরা লাভবান হবে বলে উল্লেখ করনে তিনি।

তিনি বলেন, বোরো ফসল ভালো হয়েছিল।বোরোর মতো আমনের ফসলেরও বাম্পার ফলনের আশা করা যাচ্ছে। খাদ্য সংকট নাই, আমাদরে দেশে দুর্ভিক্ষ হবে না। তবে ব্যবসায়ীদের সচতেন হতে হবে-ভোক্তাবান্ধব হতে হবে। দিনাজপুরে যে দামে চাল বিক্রয় হয় সে চাল ঢাকায় এসে অনেক বেড়ে যায়। এ প্রবণতা ছাড়তে হবে।

 খাদ্য সচিব মো: ইসমাইল হোসেন বলেন. আমাদের খাদ্য ব্যবস্থাপনা সঠিক পথে আছে। এর সাথে সম্পৃক্ত কৃষক.কৃষি বিজ্ঞানী ও কৃষি ম্যানেজমেন্টের সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সফলতা পাচ্ছি আমরা। সরকার ২ কোটিরও বেশি মানুষের কাছে কম দামে পৌঁছে দিচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তারের সভাপতিতে অনুষ্ঠানে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: ইসমাইল হোসেন. জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি আরনউড হ্যামেলারস এবং গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইমপ্রুভড নিউট্রিশন এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. রুদাবা খন্দকার বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন ।স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জালাল আহমেদ।

সারা বিশ্বের মতো কৃষি মন্ত্রণালয় এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার উদ্যোগে বাংলাদেশে নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। দুপুরে বন্যা ও পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে কারিগরি সেশন অনুষ্ঠিত হয়।

This post has already been read 2162 times!

Check Also

জুনোটিক ডিজিজে বাংলাদেশের অবস্থান অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ  -জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর

নিজস্ব প্রতিবেদক: জুনোটিক ডিজিজের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্হান অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ উল্লেখ করে মিস. গোয়েন লুইস বলেছেন, …