নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে ডেইরি উন্নয়ন বোর্ড প্রতিষ্ঠা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে সাভারে বিসিএস লাইভস্টক একাডেমি মিলনায়তনে একাডেমির প্রধান ফটক ও ডরমিটরি ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং বাংলাদেশ ডেইরি উন্নয়ন বোর্ডের নামফলক স্থাপন উপলক্ষ্য আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ একসময় বিপন্ন দেশ ছিল। দারিদ্র্যের কষাঘাতের দেশ ছিল। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সিম্বলিক দেশ ছিল। আজ সে দেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বের বিস্ময়, উন্নয়নের রোল মডেল। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন। তারই অংশ হিসেবে দেশের প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে ডেইরি ডেভেলপমেন্ট বোর্ড প্রতিষ্ঠা হচ্ছে। এটি হবে দেশের প্রাণিসম্পদ খাতে যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
মন্ত্রী বলেন, করোনাসহ বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের যেকোন উন্নয়ন প্রকল্প তিনি অগ্রাধিকার দেন।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. এমদাদুল হক তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ। সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ টি এম মোস্তফা কামাল। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. আব্দুর রহিম। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মন্ত্রী বিসিএস লাইভস্টক একাডেমির প্রধান ফটক ও ডরমিটরি ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং বাংলাদেশ ডেইরি উন্নয়ন বোর্ডের নামফলক স্থাপন করেন।
বাংলাদেশ ডেইরি উন্নয়ন বোর্ডের নামফলক স্থাপন শেষে সমসাময়িক রাজনৈতিক প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ সময় মন্ত্রী বলেন, বিএনপি এখন হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে আবোলতাবোল কথা বলছে। বিএনপির অনেক নেতা বহুবার বলেছে এই ডিসেম্বরে ক্ষমতায় আসবে। কেউ বলছে পহেলা জানুয়ারি থেকে রাষ্ট্র চালাবে তারেক রহমান, কেউ বলছে খালেদা জিয়া দুই সপ্তাহ পর বেরিয়ে আসবে। এটা হচ্ছে হতাশায় এলোমেলো কথা বলার পরিচয়। আওয়ামী লীগ মাটি ও মানুষের দল। ২০১৩ ও ২০১৪ সালে অগ্নিসন্ত্রাস-পেট্রোল সন্ত্রাস করে বিএনপির ইমেজ এতো সংকটে পড়েছে যে সেখান থেকে তারা বেরিয়ে আসতে পারছে না। তাদের হুমকিতে আওয়ামী লীগ বিচলিত নয়। ২৮ তারিখ কেনো নির্বাচনের আগের দিন পর্যন্ত সাংবিধানিকভাবে শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকবে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন হবে, যারা ভোট পাবেন তারা সরকার পরিচালনা করবেন।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা সরকার আইনের বাইরে কিছুই করবে না। দেশের সর্বোচ্চ আইন সংবিধান। সংবিধানে বলা হয়েছে একটি নির্বাচিত সরকার আরেকটি নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। এর মাঝামাঝি কোন সুযোগ নেই। আইনে যেটা নাই সেটা নিশ্চয়ই গ্রহণ করা যাবে না। অনেক দল নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে, বিএনপিরও অনেক নেতা নির্বাচনে আসবে। সময় হলেই সেটা দেখা যাবে। ‘৭১ সালে আমাদের দেশ যাতে জন্ম নিতে না পারে, সে সময় যারা বিরোধিতা করেছে, তারা সারাজীবনই বিরোধিতা করবে। এ চাপের কাছে শেখ হাসিনা সরকার, আওয়ামী লীগ মাথা নত করবে না।