রবিবার , ডিসেম্বর ২২ ২০২৪

চাটমোহর উপজেলায় কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে রোপা আমন ধান কর্তনের শুভ উদ্বোধন

পাবনা সংবাদদাতা: পাবনার চাটমোহর উপজেলায় কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষক সমাবেশ করে কম্বাইন হারভেস্টার যন্ত্রের সাহায্যে ২০২২-২৩ অর্থ বছরের প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় খরিপ-২ মৌসুমে রোপা আমন (উফশী) ধানের সমলয় চাষাবাদ ব্লকের বিনাধান-১৭ এর প্রদর্শনী স্থাপনকৃত মাঠের ধান  বৃহস্পতিবার (০৯ নভেম্বর) বেলা ১২ টায় উপজেলার মুথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের মাঠে কর্তন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কার্যক্রম পরিদর্শন করেন পাবনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ ডক্টর মো. জামাল উদ্দীন, অন্যান্য অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পাবনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার কৃষিবিদ মো. সাইফুল ইসলাম, চাটমোহর  উপজেলার কৃষকলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান, মুথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ আলম, সাংবাদিক হেলালুর রহমান জুয়েল, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার সদস্য বৃন্দ ও স্থানীয় কৃষক-কৃষাণি।

উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপত্বিত করেন চাটমোহর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রেদুয়ানুল হালিম। এরপর এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন চাটমোহরের উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এ. এ মাসুম বিল্লাহ।

তিনি বলেন, কৃষিকে এগিয়ে নিতে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন, কৃষিতে যে কোন প্রয়োজনে কৃষকদের উপজেলা কৃষি অফিসে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানান এছাড়া কৃষিতে তার গৃহিত নানান পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন। সুবিধাভোগী চাষী মামুনর রশিদ বলেন, কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি ও যন্ত্রের ব্যবহারে কৃষি কাজগুলো সহজতর হচ্ছে এজন্য কৃষিতে আধুনিক যন্ত্রপাতির অধিক হারে সুবিধা দেওয়ার অনুরোধ জানান।

সম্মানিত অতিথিগণ বলেন, শিল্পায়ন ও আধুনিক জীবন যাপনের কারনে এখন মানুষ শারীরিক ভাবে কষ্ট করতে চায়না। এ সমস্যার সমাধান হতে পারে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ করে কৃষিকে লাভজনক রূপে রূপান্তর করা। আধুনিক কৃষি যন্ত্রগুলো অল্প সময়ে অনেক বেশি কাজ করে। আর এগুলো চালনার জন্য জনবল লাগে অতি অল্প। এজন্য সরকার ৫০% ভর্তুকি প্রদান করে কৃষকদের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি প্রদান করছে।

কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যেমে জমিতে ধান কর্তন করা হলে খরচ কমে যায়। এ মেশিন দিয়ে একই সঙ্গে ধান কাটা ও মাড়াই করা যায়। সব কাজ যন্ত্রের মাধ্যমে হয় বলে সময় শ্রমিক কম লাগে এজন্য অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হওয়া যায়। এজন্য কম্বাইন হারভেস্টার যন্ত্রের সাহায্যে ধান কর্তন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। চলতি রোপা আমন মৌসুমে চাটমোহর উপজেলায় ৫০ একর জমিতে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ট্রেতে বপণকৃত বীজ থেকে চারা রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টারের সাহায্যে রোপণ করা হয়। রোপণকৃত মাঠের ধান ৩ মাস ৬ দিন পর র্কতন করা হলো। ফলন পাওয়া যায় বিঘায় ২২ মন। এ সমলয় পদ্ধতির আওতায় সুবিধাভোগী চাষির সংখ্যা ৭০ জন।

সমলয় ও কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়লে ফসল উৎপাদন বাড়বে। শ্রমিক কম লাগবে, কৃষি খাতে যে শ্রমিক সংকট বিশেষ করে ধান কর্তনের সময় শ্রমিকের অভাব তার থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

This post has already been read 2224 times!

Check Also

সুনামগঞ্জে বিনা উদ্ভাবিত জাত ও প্রযুক্তি সমূহের কর্মশালা

মো. জুলফিকার আলী (সিলেট) : বিনা উপকেন্দ্র, সুনামগঞ্জ এর আয়োজনে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, সিলেট অঞ্চল, …