নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): প্রতিবারের ন্যায় এবারও বরিশালে বিশ্ব মৃত্তিকাদিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে সকালে এক বর্ণাঢ্য র্যালি নগরীর প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে শেষ হয়।
পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলা প্রশাসন ও মৃত্তিকাসম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের যৌথ আয়োজনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মুরাদুল হাসান এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মনদীপ ঘরাই। সভাপতিত্ব করেন মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইন্সটিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ কে এম আমিনুল ইসলাম আকন।
সহকারী কমিশনার ফাহিজা বীসরাত হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. গোলাম কিবরিয়া, কৃষক প্রতিনিধি সুমন আহমেদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট, কৃষি তথ্য সার্ভিস, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, বেসরকারি সংস্থা এবং কৃষক মিলে শতাধিক অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন। এ বছরের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো : মাটি এবং পানি হচ্ছে জীবনের উৎস।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বিশ্বব্যাপি এ দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত হয়। বিশ্বে আজ প্রায় ৮২ কোটি মানুষ খাদ্যাভাবের শিকার এবং ২শ’ কোটি লোক অপুষ্টিতে ভুগছে। উৎপাদিত খাদ্যের প্রায় শতকরা ৯৫ ভাগ মাটি থেকে আসে। বায়ুমন্ডলের ক্ষতিকর কার্বন-ডাই-অক্সাইডের তিনগুণই মাটি ধরে রাখে। আবাদি জমির প্রায় ৩৩ শতাংশ মাটির অবক্ষয়ের শিকার। তাই বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এ দিবসটির তাৎপর্য আরো বেশি। যেহেতু এ দেশ পৃথিবীর অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ। সে কারণে ক্রমহ্রাসমান ভূমিসম্পদ থেকে অতিরিক্ত জনসংখ্যার খাদ্যের যোগান দেয়া বড় চ্যালেঞ্জ। যদিও সাড়ে চার দশকের ব্যবধানে ১৯৭১ সালের তুলনায় ফসলের উৎপাদন বেড়েছে তিনগুণ । তবে ২ হাজার ৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জনের জন্য খাদ্য উৎপাদন আরো দ্বিগুণ বাড়াতে হবে। আর সে লক্ষ্যে প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও বিস্তারের পাশাপাশি মাটি সুরক্ষা, সে সাথে সঠিক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেও গুরুত্ব দিতে হবে অনেক।