বৃহস্পতিবার , নভেম্বর ২১ ২০২৪

কৃষকের চিন্তা ভাবনা, রোগ-পোকামকড়ের অবস্থা বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে হবে -ডিএই মহাপরিচালক

মো. গোলাম আরিফ (পাবনা) :  এলাকার আবহাওয়া, শস্য বিন্যাস, উৎপাদন, কৃষকের চিন্তা ভাবনা, রোগ ও পোকামকড়ের অবস্থা বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। নিজ নিজ কর্ম এলাকায় প্রশিক্ষণ লব্ধ জ্ঞান প্রযুক্তি বিস্তার ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে কাজে লাগিয়ে কৃষিকে সমৃদ্ধ করতে হবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ বাদল চন্দ্র বিশ্বাস এসব কথা বলেন। গত ৮ ডিসেম্বর হর্টিকালচার সেন্টার টেবুনিয়া, পাবনায় পরিবেশবান্ধব কৌশলের মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদন প্রকল্পের (১ম সংশোধিত) আওতায় “মৌসুমব্যাপি আইপিএম প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ কোর্স ২০২৩” এর সমাপনী ও সার্টিফিকেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায়  তিনি এসব কথা বলেন।

ডিএই মহাপরিচালক বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল এদেশের মাটি ও মানুষকে ব্যবহার করে সবুজ বিপ্লবের মাধ্যমে সোনার বাংলা নির্মাণ করা। এরই ধারাবাহিকতা রক্ষা ও  বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে তারই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা কৃষিতে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। স্বাধীনতার পর থেকে কৃষিতে যে পরিবর্তন এসেছে এটা সরকারের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। সম্প্রসারণ ও গবেষণাকে সম্পৃক্ত করে প্রযুক্তির বিস্তার হয়েছে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন “প্রযুক্তি বিস্তার ও অধিক ফলনের জন্য কৃষিতে ভর্তুকি নয় আমি বিনিয়োগ করেছি”। যার ফলে প্রযুক্তিগুলোর সম্প্রসারণ হয়েছে, কৃষকরা হয়েছে লাভবান, জমি কমেছে কিন্তু কৃষি উৎপাদন বেড়েছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষিবিদ মোঃ সালাহ্ উদ্দীন সরদার, প্রকল্প পরিচালক, পরিবেশবান্ধব কৌশলের মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদন প্রকল্প। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন, কোর্স কো-অর্ডিনেটর ও আইপিএম স্পেশালিস্ট কৃষিবিদ মোঃ আবুল বাসার মিয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন কৃষিবিদ মোঃ আশরাফ উদ্দিন, পরিচালক, উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইং, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি, ঢাকা ও কৃষিবিদ সরকার শফি উদ্দীন আহমদ, অতিরিক্ত পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বগুড়া অঞ্চল, বগুড়া। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিদ বিজয় কৃষ্ণ বিশ্বাস, প্রকল্প পরিচালক, ভাসমান বেডে সবজি ও মসলা চাষ, সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয়করণ প্রকল্প, ডিএই, খামারবাড়ি, ঢাকা; কৃষিবিদ মোঃ মাহমুদুল ফারুক, অধ্যক্ষ, এটিআই, ঈশ^রদী, পাবনা; কৃষিবিদ ড. মোঃ জামাল উদ্দীন, উপপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, পাবনা; কৃষিবিদ এ.এফ.এম. গোলাম ফারুক হোসেন, উপপরিচালক, হর্টিকালচার সেন্টার, টেবুনিয়া, পাবনা।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, আটঘরিয়া উপজেলার উপজেলা কৃষি অফিসার, কোর্স সমন্বয়কারীগণ, কৃষি তথ্য সার্ভিস প্রতিনিধিসহ আমন্ত্রিত অন্যান্য অতিথিবৃন্দ। আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ কোর্স ২০২৩ প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট বিতরণ করেন।

প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে বিসিএস কৃষি ক্যাডারের ৩৬-৪০ তম ব্যাচের ৪০ জন কর্মকতা ৬০ দিনব্যাপী প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ কোর্স ২০২৩ এ অংশগ্রহণ করেন। ৬০ দিনব্যাপী প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ শেষে প্রথম, দ্বিতীয় ও  তৃতীয় স্থান নিশ্চিত করেন যথাক্রমে কৃষিবিদ মোঃ মাহাবুব এলাহী, উপজেলা কৃষি অফিসার, হরিনাকুন্ডু, ঝিনাইদহ; কৃষিবিদ এ কে এম ফরিদুল হক, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার, গংগাচড়া, রংপুর এবং কৃষিবিদ ইব্রাহিম খলিল, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার, পানছড়ি, খাগড়াছড়ি।

This post has already been read 1780 times!

Check Also

মাসকলাইয়ের জনপ্রিয়তা বাড়ছে দেশে

মো. আমিনুল ইসলাম (রাজশাহী): বাংলাদেশে পতিত ও অব্যবহৃত জায়গাতেও পরিকল্পিতভাবে ফলমুল ও শাকসবজি চাষ করা …