বাকৃবি সংবাদদাতা: সম্প্রতি অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি কাউন্সিল গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। নিজেদের পেশাদারিত্ব রক্ষার্থে এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে দ্রুত ‘বাংলাদেশ অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি কাউন্সিল আইন-২০২৩’ বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি অনুষদীয় ছাত্রসমিতি।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুর একটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি অনুষদীয় সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানায় অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি অনুষদীয় ছাত্রসমিতি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করার সময়ে অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি অনুষদীয় ছাত্রসমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রান্ত সরকার বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, আত্মকর্মসংস্থান ও দারিদ্র্য বিমোচনের মৌলিক ও সম্ভাবনাময় খাত প্রাণিসম্পদ। দেশের ক্রমবর্ধমান দুধ, মাংস, ডিম ও চামড়ার চাহিদা পূরণে গবাদিপশুর উন্নয়ন জরুরি। এরই ধারাবাহিকতায় ‘বাংলাদেশ অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি কাউন্সিল আইন-২০২৩’ এর মাধ্যমে অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি গ্রাজুয়েটদের অধিকার রক্ষা হবে। স্মার্ট লাইভস্টক তথা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অগ্রণী ভূমিকায় থাকবে অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি গ্রাজুয়েটগণ।
সম্মেলনে বক্তারা বলেন, অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি ক্ষেত্রের সাথে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডার এবং মন্ত্রণালয়ের আলোচনা সাপেক্ষে অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি কাউন্সিল আইন-২০২৩ প্রস্তাবনা করা হয়েছে। মূলত পশুর লালনপালনজনিত নিরাপত্তা রক্ষার জন্যেই এই আইনটির বাস্তবায়ন জরুরি। বানিজ্যিক কৃষিকে গুরুত্ব দিয়ে বড় বড় ফার্মে প্রাণি উৎপাদন, ফার্ম ও পশুখাদ্য ব্যবস্থাপনা, পশুর জাত উন্নয়নে আধুনিক প্রযুক্তির সন্নিবেশ ঘটিয়ে দুধ, ডিম ও মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং সংরক্ষণের বিষয়গুলো নিয়েই কাজ করবে এই আইন। কম সংখ্যক গরু থাকবে কিন্তু সঠিক পুষ্টিমাত্রা নিশ্চিত করে উৎপাদন বেড়ে যাবে। এতে করে মিথেন নিঃসরণ কমবে, পরিবেশ সংরক্ষণ হবে। যা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও সহযোগিতা করবে।
উপস্থিত বক্তারা আরও বলেন, অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি গ্র্যাজুয়েট কাজ করবেন পুষ্টি নিরাপত্তা নিয়ে। বানিজ্যিক কোম্পানিগুলো বিভিন্ন ঔষধ বা পুষ্টিবিষয়ক খাদ্যের ক্ষেত্রে নিরাপত্তার নীতিগুলো মানছেন কি না সেটিই দেখবেন তাঁরা। জনগন ও প্রাণিসম্পদের উন্নয়নের স্বার্থে এই আইনটির প্রস্তাবনা করা