নিজস্ব প্রতিবেদক: বোরো ধানের শুকনা বীজতলা তৈরিতে আগ্রহী হয়ে উঠছেন পলাশবাড়ী পৌরসভার কৃষকরা। ঘন কুয়াশা ও শীতজনীত রোগ থেকে রক্ষা পেতে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে এই প্রথম শুকনা বীজতলা তৈরী করেছেন।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শর্মিলা শারমিন জানান, শীতকালে বোরো বীজতলা নিয়ে কৃষকরা প্রতি বছরই নানা প্রতিকূলতার সম্মুখীন হন। এ অবস্থা থেকে রক্ষা পেতে শুকনো বোরো বীজতলা তৈরিতে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছি।
গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার পৌরসভা ব্লকের উপজেলার আমবাড়ী গ্রামের কৃষক মো. মিন্টু মিয়া জানান, তিনি ২৫ শতাংশ জমিতে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শর্মিলা শারমিন আপার পরামর্শে প্রথম শুকনা বীজতলা তৈরি করেছি। পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেওয়ার কারণে শীতজনীত কোন রোগের আক্রমন নেই। মাত্র ৭ দিনে চারার বাড়বাড়তি অনেক ভাল। পলিথিন ছাড়া সেচ,কাদার দরকার হযনা। মাত্র দুটা চাষ দিয়ে বেড করে চারা করা যায়। এতে তুলনামূলক ভাবে খরচ কম হয়। তার দেখে অনেক কৃষক শুকনা বীজতলা তৈরী করছেন। এ প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা: ফাতেমা কাওসার মিশু জানান, এ পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরি করলে কোল্ড ইনজুরী থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। তুলনামূলক ফলনও ভালো হয়।